প্রথম দিন জিমে এসে কি কি ওয়ার্ক আউট করবেন?

অনেকে প্রশ্ন করেন প্রথম দিন জিমে এসে কি কি ওয়ার্ক আউট করবেন? তাই আমরা এই পোস্টে আলোচনা করবো প্রথম দিন জিমে এসে ছেলেরা ও মেয়েরা কি কি ওয়ার্ক আউট করবেন।

প্রথম দিন জিমে এসে আপনার শরীরকে নতুন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে সময় দিতে হবে। তাই এই দিন আপনি খুব বেশি ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন।

বরং, আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশের নমনীয়তা বাড়াতে এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্যকারী কিছু ব্যায়াম করুন।

প্রথমে ১০ মিনিট হালকা হাঁটা বা দৌড়ানো করুন। এতে আপনার শরীর গরম হয়ে যাবে এবং ব্যায়ামের জন্য প্রস্তুত হবে।

এরপর, নিম্নলিখিত ব্যায়ামগুলো করুন:

  • পুশ-আপ: বুক এবং কাঁধের পেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
  • সিট-আপ: পেটের পেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
  • স্কোয়াট: পা এবং নিতম্বের পেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
  • লেগ প্রেস: পায়ের পেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
  • লেগ এক্সটেনশন: পায়ের পেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

প্রতিটি ব্যায়াম ১০ থেকে ১২ বার করুন এবং প্রতিটি ব্যায়ামের মাঝে ১ থেকে ২ মিনিট বিশ্রাম নিন।

ব্যায়াম শেষে ১০ মিনিট হালকা স্ট্রেচিং করুন। এতে আপনার শরীরের পেশীগুলো শিথিল হবে এবং ব্যায়ামের ক্লান্তি দূর হবে।

আপনি আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্য এবং শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে এই ব্যায়ামের রুটিন পরিবর্তন করতে পারবেন।

জিমে প্রথম দিনের ব্যায়ামের কিছু টিপস:

  • সঠিক ফর্ম অনুসরণ করুন। সঠিক ফর্ম না মানলে ব্যায়ামের থেকে ক্ষতি হতে পারে।
  • আপনার সীমাবদ্ধতা মাথায় রাখুন। আপনার শরীরের জন্য বেশি ওজন তুলতে বা বেশিক্ষণ ব্যায়াম করতে চাপ দেবেন না।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ব্যায়াম করার সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়। তাই ব্যায়ামের সময় এবং পরে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।

 

কিছু অতিরিক্ত টিপস দেওয়া হলো:

  • আপনার জিম ট্রেইনারের সাথে কথা বলুন। তিনি আপনাকে আপনার জন্য প্রথম দিনের উপযুক্ত ব্যায়ামের রুটিন তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
  • একটি ডায়েট তৈরি করুন যা আপনার ব্যায়ামের লক্ষ্যকে সমর্থন করে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ব্যায়াম করা উচিত।
  • ধৈর্য ধরুন এবং কঠোর পরিশ্রম করুন। আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জন করবেন।

এছাড়াও আপনি জিম করার সঠিক নিয়ম এখান থেকে ডাউনলোড দিয়ে নিতে পারেন ⇒ এখানে ক্লিক করুন

 

শেষ কথা

প্রথম দিন জিমে এসে আপনার লক্ষ্য হবে শরীরকে নতুন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়া এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের নমনীয়তা বাড়াতে এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্যকারী কিছু ব্যায়াম করা।

পরবর্তীতে আপনার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার সাথে সাথে আপনি আপনার ব্যায়ামের রুটিন পরিবর্তন করতে পারেন।