ব্যায়াম করার পর গোসল করার জন্য সর্বোত্তম সময় হলো ব্যায়ামের ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পর। এ সময়ের মধ্যে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে এবং শরীরের ত্বক থেকে ঘাম এবং তেল বেরিয়ে যাওয়ার সময় পায়। এতে শরীরে ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়।
তবে, ব্যায়াম করার পরপরই গোসল না করাই ভালো। কারণ, ব্যায়ামের পর শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে এবং রক্তচাপও বেশি থাকে।
তাই এই সময় গোসল করলে হঠাৎ করে শরীরের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে এবং রক্তচাপ কমে যেতে পারে। এতে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, এমনকি অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে।
এছাড়াও, ব্যায়াম করার পরপরই গোসল করলে শরীরের ত্বকের তেল এবং ঘাম ধুয়ে যায়। এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে এবং ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই ব্যায়াম করার পরপরই গোসল না করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর গোসল করা ভালো।
ব্যায়াম করার পর গোসল করলে নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো পাওয়া যায়:
- শরীর ঠান্ডা হয় এবং আরামদায়ক বোধ হয়।
- শরীর থেকে ঘাম এবং তেল ধুয়ে যায়।
- শরীর পরিষ্কার হয় এবং জীবাণুমুক্ত হয়।
- ব্যায়াম করার পর শরীরে যে ব্যথা হয়, তা কমে যায়।
ব্যায়াম করার পর গোসল করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে:
- গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন না। হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করা ভালো।
- দীর্ঘক্ষণ গোসল করবেন না। ১০ থেকে ১৫ মিনিট গোসল করা যথেষ্ট।
- গোসলের পর ত্বক ভালো করে মুছে নিবেন।
- গোসলের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।
Contents
ব্যায়াম করার পর কি করা উচিত?
ব্যায়াম করার পর শরীরকে বিশ্রাম দিতে হবে। এতে শরীরের পেশীগুলো শিথিল হতে পারে ও ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো মেরামত হতে পারে।
ব্যায়াম করার পর শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং ব্যায়ামের সুফল পেতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো করা উচিত:
গোসল করুন:
ব্যায়াম করার পর শরীর থেকে ঘাম এবং তেল ধুয়ে ফেলতে গোসল করা ভালো। এতে শরীর ঠান্ডা হয় এবং আরামদায়ক বোধ হয়। তবে, ব্যায়াম করার পরপরই গোসল না করাই ভালো। কারণ, ব্যায়ামের পর শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে এবং রক্তচাপও বেশি থাকে। তাই এই সময় গোসল করলে হঠাৎ করে শরীরের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে এবং রক্তচাপ কমে যেতে পারে। এতে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, এমনকি অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে। তাই ব্যায়াম করার পরপরই গোসল না করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর গোসল করা ভালো।
প্রয়োজনীয় তরল পান করুন:
ব্যায়াম করার পর শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়। তাই ব্যায়াম করার পরপরই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এতে শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করা যায়।
হালকা খাবার খান:
ব্যায়াম করার পরপরই ভারী খাবার খাওয়া ভালো নয়। কারণ, ভারী খাবার হজম হতে সময় লাগে। তাই ব্যায়াম করার পরপরই হালকা খাবার খাওয়া ভালো। যেমন, ফল, ফলের রস, স্মুদি, দুধ, দই ইত্যাদি।
প্রয়োজনে বিশ্রাম নিন:
ব্যায়াম করার পর শরীর ক্লান্ত থাকে। তাই প্রয়োজনে বিশ্রাম নিন। এতে শরীরের পেশীগুলো শিথিল হতে পারে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো মেরামত হতে পারে।
ব্যায়াম করার পর শরীরের সুস্থতা এবং ব্যায়ামের সুফল পেতে উপরোক্ত বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে পালন করা উচিত।
ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর পানি পান করা উচিত?
ব্যায়াম করার পরপরই পানি পান করা উচিত নয়। কারণ, ব্যায়াম করার পর শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে এবং রক্তচাপও বেশি থাকে।
তাই এই সময় পানি পান করলে হঠাৎ করে শরীরের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে এবং রক্তচাপ কমে যেতে পারে। এতে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, এমনকি অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে। তাই ব্যায়াম করার পরপরই পানি না পান করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর পানি পান করা ভালো।
ব্যায়াম করার পর পানি পান করার জন্য আদর্শ সময় হলো ব্যায়াম শেষ হওয়ার ৫ থেকে ১০ মিনিট পর। এই সময় শরীরের তাপমাত্রা এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তাই এই সময় পানি পান করলে শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করা যায়।
ব্যায়ামের তীব্রতা এবং সময়কালের উপর নির্ভর করে পানি পান করার পরিমাণও নির্ভর করে। সাধারণত, ব্যায়াম করার পর প্রতি ১৫ থেকে ২০ মিনিটে ১ গ্লাস পানি পান করা উচিত। তবে, যদি ব্যায়াম দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে প্রতি ১০ থেকে ১৫ মিনিটে ১ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
ব্যায়াম করার পর পানি পান করার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন:
- ঠান্ডা বা গরম পানি পান করা উচিত নয়। উষ্ণ পানি পান করা ভালো।
- একবারে বেশি পানি পান করা উচিত নয়। অল্প অল্প করে পানি পান করা ভালো।
- পানি পান করার সময় ধীরে ধীরে পান করা ভালো।
ব্যায়াম করার পর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করা যায় এবং ব্যায়ামের সুফল পাওয়া যায়।