প্রথম প্রথম জিম করার পর কম বেশি শরীর ব্যথা হয়ে পারে। তবে তা জিম কারির শারীরিক অবস্থা ও জিম করার পদ্ধতির উপর অনেকটা নির্ভর করে। ব্যায়াম করার পর শরীর ব্যথা হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে:
- মাইক্রোট্রমা: ব্যায়াম করার সময়, আপনার পেশীগুলির ছোট ছোট ছিদ্র হয়। এই ছিদ্রগুলি নিরাময়ের সাথে সাথে, তারা প্রদাহ এবং ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
- লাকটিক অ্যাসিড: ব্যায়াম করার সময়, আপনার পেশীগুলি লাকটিক অ্যাসিড তৈরি করে। লাকটিক অ্যাসিড একটি জ্বালানী যা আপনার পেশীগুলিকে শক্তি দেয়। তবে, ব্যায়াম শেষ হওয়ার পরে, লাকটিক অ্যাসিড জমা হতে পারে এবং ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
- ডিওএমএস: ডিলেইড অনসেট মাসল সোরনেস (DOMS) হল ব্যায়াম করার পরে পেশী ব্যথার একটি সাধারণ ধরন। DOMS সাধারণত ব্যায়াম করার ২৪ থেকে ৭২ ঘন্টা পরে শুরু হয় এবং কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে।
Contents
ব্যায়ামের পর পেশিতে ব্যথা হয় কেন?
ব্যায়ামের পর পেশিতে ব্যথা হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল মাইক্রোট্রমা। ব্যায়াম করার সময়, আপনার পেশীগুলির ছোট ছোট ছিদ্র হয়। এই ছিদ্রগুলি নিরাময়ের সাথে সাথে, তারা প্রদাহ এবং ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
ব্যায়াম করার পর পেশিতে ব্যথার অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- লাকটিক অ্যাসিড: জিম করার সময় আপনার পেশীগুলি লাকটিক অ্যাসিড তৈরি করে। লাকটিক অ্যাসিড একটি জ্বালানী যা আপনার পেশীগুলিকে শক্তি দেয়। তবে, ব্যায়াম শেষ হওয়ার পরে লাকটিক অ্যাসিড জমা হতে পারে এবং ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
- ডিওএমএস: ডিলেইড অনসেট মাসল সোরনেস (DOMS) হল ব্যায়াম করার পরে পেশী ব্যথার একটি সাধারণ ধরন। DOMS সাধারণত ব্যায়াম করার ২৪ থেকে ৭২ ঘন্টা পরে শুরু হয় এবং কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে।
- পেশী টান বা আঘাত: ব্যায়াম করার সময়, আপনার পেশীগুলি টান বা আঘাত পেতে পারে। এই ধরনের আঘাতগুলি ব্যথা এবং অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
জিম করার পর ঘুমালে শরীরের কোন কোন অংশে ব্যাথা হতে পারে?
জিম করার পর ঘুমালে শরীরের যেকোনো অংশে ব্যাথা হতে পারে, তবে সবচেয়ে বেশি ব্যথা হয় সেই অংশগুলিতে যেগুলিতে বেশি চাপ পড়ে। যেমন:
- পেশী: জিম করার সময়, আপনার পেশীগুলি সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়। এই প্রক্রিয়াটি পেশীগুলিতে ক্ষতি করতে পারে, যা ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
- জয়েন্ট: জিম করার সময়, আপনার জয়েন্টগুলিতে চাপ পড়ে। এই চাপ জয়েন্টগুলিতে ক্ষতি করতে পারে, যা ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
- কঙ্কাল: জিম করার সময়, আপনার কঙ্কালের উপর চাপ পড়ে। এই চাপ কঙ্কালে ক্ষতি করতে পারে, যা ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রথম প্রথম জিম করলে শরীর ব্যথা হয়? বা অনেক দিন পর জিম করলে শরীর ব্যথা হতে পারে?
হ্যাঁ, প্রথম প্রথম জিম করলে শরীর ব্যথা হয় এবং অনেক দিন পর জিম করলে শরীর ব্যথা হতে পারে। এর কারণ হল, আপনার পেশীগুলি নতুন ধরনের চাপের সাথে মানিয়ে নিতে হয়।
জিম করার সময়, আপনার পেশীগুলি সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়। এই প্রক্রিয়াটি পেশীগুলিতে ক্ষতি করতে পারে, যা ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
পেশির ব্যথা কমানোর উপায়
পেশির ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন:
- ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম
- টান বা আঘাত
- দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থানে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকা
- কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- কিছু রোগ বা অবস্থা, যেমন দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, গেঁটে বাত, বা পোলিমায়ালজিয়ারিয়া রুমেটিকাম
পেশির ব্যথা কমানোর জন্য বিভিন্ন উপায়:
- বিশ্রাম: ব্যথার পেশীকে বিশ্রাম দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যদি ব্যথা খুব বেশি হয়, তাহলে কয়েক দিনের জন্য শারীরিক কার্যকলাপ সীমিত করা উচিত।
- বরফ: বরফ ব্যথা এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। ব্যথার স্থানে বরফের প্যাক 20 মিনিটের জন্য প্রতি ঘন্টায় কয়েকবার প্রয়োগ করুন।
- কম্প্রেশন: ব্যথার স্থানে একটি শক্ত ব্যান্ডেজ বা চাপ প্যাড প্রয়োগ করা ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- উচ্চতা: ব্যথার স্থানকে উঁচুতে রাখা রক্ত প্রবাহকে হ্রাস করতে এবং ব্যথা এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- ওষুধ: ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন আইবুপ্রোফেন বা অ্যাসিটামিনোফেন, ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- ফিজিওথেরাপি: ফিজিওথেরাপিস্ট ব্যথার পেশীগুলিকে প্রসারিত এবং শক্তিশালী করতে সাহায্য করার জন্য ব্যায়াম এবং থেরাপির প্রোগ্রাম প্রদান করতে পারে।
পেশির ব্যথার জন্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি:
- ম্যাসাজ: ম্যাসাজ ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- গরম সেঁক: গরম সেঁক রক্ত প্রবাহকে বাড়াতে এবং ব্যথা এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- আরামদায়ক অবস্থান: আরামদায়ক অবস্থানে থাকা ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
এখানে কিছু অতিরিক্ত টিপস রয়েছে যা পেশির ব্যথা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে:
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- ভারী জিনিস তুলতে সময় নেওয়ার চেষ্টা করুন।
- আপনার শরীরের অবস্থান পরিবর্তন করুন যদি আপনি দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থানে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকেন।
- পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান।
নোটঃ যদি পেশির ব্যথা তীব্র হয় বা কয়েক দিনের মধ্যে না কমে, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
জিম করার কারনে শরীর ব্যথা হলে কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয়?
জিম করার পর শরীর ব্যথা হওয়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এই ব্যথা সাধারণত ডিলেইড অনসেট মাসল সোরনেস (DOMS) নামে পরিচিত, যা ব্যায়াম করার পরে পেশীগুলিতে ক্ষতির কারণে হয়। DOMS সাধারণত ব্যায়াম করার ২৪ থেকে ৭২ ঘন্টা পরে শুরু হয় এবং কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে।
জিম করার পর শরীর ব্যথা হলে নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করা উচিত:
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। আপনার পেশীগুলিকে নিরাময়ের জন্য সময় দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন। পানি আপনার পেশীগুলিকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং লাকটিক অ্যাসিড অপসারণে সহায়তা করে।
- স্ট্রেচিং করুন। স্ট্রেচিং আপনার পেশীগুলিকে নমনীয় এবং টেনসিল করতে সাহায্য করে, যা ব্যথা কমাতে পারে।
- আইস বা ম্যাসেজ ব্যবহার করুন। আইস বা ম্যাসেজ আপনার পেশীগুলিতে ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
জিম করার পর শরীর ব্যথা হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি করা উচিত নয়:
- ব্যথার পেশীগুলিকে আরও ব্যবহার করবেন না। এটি ব্যথা আরও খারাপ করতে পারে।
- গরম সেঁক ব্যবহার করবেন না। গরম সেঁক প্রদাহ বাড়াতে পারে।
- ব্যথানাশক ওষুধ নিয়মিত ব্যবহার করবেন না। ব্যথানাশক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
নোটঃ যদি জিম করার পর শরীর ব্যথা তীব্র হয় বা কয়েক দিনের মধ্যে না কমে, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
জিম করার পর শরীর ব্যথা প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
- প্রশিক্ষণের আগে পর্যাপ্ত উষ্ণতা করুন। এটি আপনার পেশীগুলিকে প্রসারিত করতে এবং আঘাতের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।
- আপনার শক্তির স্তরে উপযুক্ত ওজন ব্যবহার করুন। খুব বেশি ওজন ব্যবহার করলে আপনার পেশীগুলি আঘাত পেতে পারে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন। আপনার পেশীগুলি যত বেশি ব্যবহৃত হবে, তারা তত বেশি শক্তিশালী হবে এবং ব্যথা কম হবে।
এখানে কিছু অতিরিক্ত টিপস রয়েছে যা জিম করার পর শরীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে:
- পর্যাপ্ত প্রোটিন খাবেন। প্রোটিন আপনার পেশীগুলিকে পুনর্গঠন এবং মেরামত করতে সাহায্য করে।
- পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান। এই পুষ্টি উপাদানগুলি পেশী ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- পর্যাপ্ত ঘুমান। ঘুম আপনার পেশীগুলিকে নিরাময় করতে সাহায্য করে।