জিম করা একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যা শরীরের গঠন, শক্তি, এবং দৈহিক সুস্থতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তবে, জিম করা শুরু করার জন্য একটি সঠিক বয়স রয়েছে।
কিশোর বয়স থেকে জিম করা যেতে পারে তবে প্রাপ্ত বা উপযুক্ত বয়সে জিমে ভর্তি হওয়া উত্তম। নিচে আমরা জানবো কত বছর বয়স থেকে জিম করা ভালো? কোন বয়সে জিম করা উচিত? কত বছর বয়সে জিম করা উচিত?
Contents
কিশোর বয়স থেকে জিম করা যেতে পারে
সাধারণত, ১৪-১৬ বছর বয়স থেকে জিম করা যেতে পারে। এই বয়সে শরীরের হাড় এবং পেশিগুলির বৃদ্ধি শুরু হয়। তাই এই বয়সে জিম করার মাধ্যমে শরীরের গঠন এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করা যায়। তবে, এই বয়সে জিম করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত:
- জিম করার আগে একজন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত।
- জিম করার সময় শরীরের সীমাবদ্ধতা মেনে চলা উচিত।
- অতিরিক্ত ওজন তোলা থেকে বিরত থাকা উচিত।
অনূর্ধ্ব ১৬ জিম করা যাবে কি?
সাধারণত, অনূর্ধ্ব ১৬ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের জন্য জিম করা নিরাপদ নয়। কারণ এই বয়সে তাদের হাড় এবং পেশিগুলি এখনও সম্পূর্ণভাবে পরিণত হয় না। তাই অতিরিক্ত ওজন তোলার ফলে হাড় এবং পেশিগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব ১৬ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা জিম করতে পারে। যদি কোনও অনূর্ধ্ব ১৬ বছর বয়সী ছেলেমেয়েকে কোনও শারীরিক সমস্যা থাকে যা জিম করার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে, তবে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে তারা জিম করতে পারে।
অনূর্ধ্ব ১৬ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা যদি জিম করতে চায় তবে তাদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মাথায় রাখা উচিত:
- একজন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া।
- জিম করার সময় শরীরের সীমাবদ্ধতা মেনে চলা।
- অতিরিক্ত ওজন তোলা থেকে বিরত থাকা।
- পর্যাপ্ত পানি পান করা।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা।
অনূর্ধ্ব ১৬ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের জন্য জিম করার কিছু সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- শরীরের গঠন এবং শক্তি বৃদ্ধি
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
- মানসিক চাপ কমানো
তবে, এই সুবিধাগুলি পেতে হলে অবশ্যই নিরাপদ উপায়ে জিম করতে হবে।
১৪ বছর হলে কি জিম করা যাবে?
সাধারণত, ১৪ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের জন্য জিম করা নিরাপদ নয়। তাই এ বয়সের ছেলেমেয়েদের জিমে ভর্তি না হওয়াই ভালো।
বাংলাদেশে, অনেক জিম ১৪ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদেরকে সদস্য হতে দেয় না। তবে, কিছু জিম অভিভাবকের সম্মতি সাপেক্ষে ১৪ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদেরকে সদস্য হতে দেয়।
১৪ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা যদি জিম করতে চায় তবে তাদের অভিভাবকের সাথে আলোচনা করে একটি ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
১৭-১৮ বছর বয়স থেকে জিম করা ভালো
১৭-১৮ বছর বয়স থেকে জিম করা সবচেয়ে ভালো। এই বয়সে শরীর পুরোপুরি পরিণত হয়। তাই এই বয়সে জিম করার মাধ্যমে শরীরের গঠন এবং শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি পেশীর ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যায়। এছাড়া এই বয়সে পুরুষরা তাদের শরীরের গঠন এবং পেশীর ভর বৃদ্ধিতে আগ্রহী হন।
বয়স্কদের জন্য জিম করা
বয়স্কদের জন্যও জিম করা উপকারী। জিম করার মাধ্যমে বয়সের সাথে সাথে হ্রাস পাওয়া পেশীর ভর এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করা যায়। তবে, বয়স্কদের জন্য জিম করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত:
- হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে জিম করার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
- জিম করার সময় ধীরে ধীরে শুরু করা উচিত এবং ধীরে ধীরে ওজন বাড়ানো উচিত।
- অতিরিক্ত ব্যায়াম থেকে বিরত থাকা উচিত।
জিম করার উপকারিতা
জিম করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- শরীরের গঠন এবং শক্তি বৃদ্ধি
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
- মানসিক চাপ কমানো
- হৃদরোগ এবং অন্যান্য জটিল রোগের ঝুঁকি কমানো
জিম করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত
জিম করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মাথায় রাখা উচিত:
- একজন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া।
- জিম করার সময় শরীরের সীমাবদ্ধতা মেনে চলা।
- অতিরিক্ত ওজন তোলা থেকে বিরত থাকা।
- পর্যাপ্ত পানি পান করা।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা।
শেষকথা
জিম করা একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যা শরীরের গঠন, শক্তি, এবং দৈহিক সুস্থতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তবে, জিম করা শুরু করার জন্য একটি সঠিক বয়স রয়েছে।
বয়স অনুযায়ী জিম করার মাধ্যমে শরীরের ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যায় এবং সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়া যায়।