ফল জিমকারিদের জন্য খুবই উপকারী কারণ এগুলিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে যা পেশী তৈরি, শক্তির মাত্রা বাড়ানো এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
নিচে জিমকারিদের জন্য উপকারি ফলগুলার নাম দেয়া হলো।
জিমকারিদের জন্য সেরা ১০ টি ফলের নাম:
- আপেল
- কলা
- বেরি
- তরমুজ
- অ্যাভোকাডো
- আনারস
- পেঁপে
- আম
- কাঁঠাল
- কমলা
Contents
- কোন ফল জিমকারিদের কি ধরণের উপকার করে?
- এই ১০ ফলের মধ্যে কোনটিতে কত প্রোটিন আছে?
- জিমের জন্য কোন ফলটি সবচেয়ে ভালো?
- প্রতিদিন কত গ্রাম ফল খাওয়া উচিত?
- জিমের আগে ফল খাওয়া কি ভালো?
- জিম করার আগে কোন ফল খাওয়া উচিত?
- জিমে কলা খাওয়ার উপকারিতা
- জিম কারিদের ফল খাওয়ার সঠিক উপায়
- কোন কোন ফল সবজি?
- শরীর গঠনে ফলের গুরুত্ব বা সুবিধা কি কি?
কোন ফল জিমকারিদের কি ধরণের উপকার করে?
জিমকারিদের জন্য উপকারী ফলগুলি সাধারণত নিম্নলিখিত উপকারগুলি প্রদান করে:
- শক্তির মাত্রা বাড়ায়: ফলগুলিতে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা শরীরের জন্য শক্তির একটি ভালো উৎস। জিমকারিরা তাদের শরীরচর্চার সময় শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে ফল খেতে পারেন।
- পেশী তৈরিতে সাহায্য করে: ফলগুলিতে প্রোটিন থাকে, যা পেশী তৈরি এবং মেরামত করতে সাহায্য করে। জিমকারিরা তাদের পেশী বৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে ফল খেতে পারেন।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ফলগুলিতে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। জিমকারিরা তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ফল খেতে পারেন।
জিমকারিদের জন্য উপকারী কিছু নির্দিষ্ট ফলের মধ্যে রয়েছে:
- আপেল: আপেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
- কলা: কলা একটি ভালো কার্বোহাইড্রেট এবং পটাশিয়ামের উৎস। কার্বোহাইড্রেট শরীরের জন্য শক্তির উৎস এবং পটাশিয়াম পেশীর সংকোচনে সাহায্য করে।
- বেরি: বেরিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার থাকে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
- তরমুজ: তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি, ভিটামিন এ, সি এবং লাইকোপিন থাকে। পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে, ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। লাইকোপিন একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন সি এবং ফাইবার থাকে। স্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরের জন্য শক্তির উৎস, ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
- আনারস: আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং ব্রোমেলিন থাকে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং ব্রোমেলিন পেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- পেঁপে: পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং পেপসিন থাকে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং পেপসিন হজমে সাহায্য করে।
- আম: আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং পটাশিয়াম থাকে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং পটাশিয়াম পেশীর সংকোচনে সাহায্য করে।
- কাঁঠাল: কাঁঠাল একটি পুষ্টিকর ফল যা জিমকারিদের জন্য অনেক উপকারী হতে পারে। এটিতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। কাঁঠাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে, এবং পেশী এবং হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- কমলা: কমলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং লাইকোপিন থাকে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং লাইকোপিন একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
জিমকারিরা তাদের খাদ্যতালিকায় এই ফলগুলি অন্তর্ভুক্ত করে তাদের স্বাস্থ্য এবং পেশী বৃদ্ধির জন্য উপকৃত হতে পারেন।
এই ১০ ফলের মধ্যে কোনটিতে কত প্রোটিন আছে?
- কলা: প্রতি ১০০ গ্রামে ১.২ গ্রাম প্রোটিন
- অ্যাভোকাডো: প্রতি ১০০ গ্রামে ২.৪ গ্রাম প্রোটিন
- আম: প্রতি ১০০ গ্রামে ০.৫ গ্রাম প্রোটিন
- কমলা: প্রতি ১০০ গ্রামে ০.৮ গ্রাম প্রোটিন
- আপেল: প্রতি ১০০ গ্রামে ০.৫ গ্রাম প্রোটিন
- বেরি: প্রতি ১০০ গ্রামে ০.৭ গ্রাম প্রোটিন
- তরমুজ: প্রতি ১০০ গ্রামে ০.৬ গ্রাম প্রোটিন
- আনারস: প্রতি ১০০ গ্রামে ০.৬ গ্রাম প্রোটিন
- কাঁঠাল: প্রতি ১০০ গ্রামে ১.৭ গ্রাম প্রোটিন
- কাঁচা পেঁপে: প্রতি ১০০ গ্রামে ১.৫ গ্রাম প্রোটিন
জিমের জন্য কোন ফলটি সবচেয়ে ভালো?
জিমের জন্য সবচেয়ে ভালো ফল হল কলা। কলা একটি ভালো কার্বোহাইড্রেট এবং পটাশিয়ামের উৎস। কার্বোহাইড্রেট শরীরের জন্য শক্তির একটি ভালো উৎস এবং পটাশিয়াম পেশীর সংকোচনে সাহায্য করে।
কলা জিমকারিদের জন্য নিম্নলিখিত উপকারগুলি প্রদান করতে পারে:
- শক্তির মাত্রা বাড়ায়: কলার কার্বোহাইড্রেট শরীরের জন্য শক্তির একটি ভালো উৎস। জিমকারিরা তাদের শরীরচর্চার সময় শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে কলা খেতে পারেন।
- পেশী তৈরিতে সাহায্য করে: কলার পটাশিয়াম পেশীর সংকোচনে সাহায্য করে। জিমকারিরা তাদের পেশী বৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে কলা খেতে পারেন।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: কলাতে ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে: কলাতে ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
কলা একটি সুস্বাদু এবং সহজেই পাওয়া যায় এমন ফল। এটি জিমকারিদের জন্য একটি দুর্দান্ত খাদ্যতালিকাগত পরিপূরক হতে পারে। এছাড়াও আরো কিছু ভালো ফল আছে যা জিম কারিদের জন্য প্রয়োজন।
প্রতিদিন কত গ্রাম ফল খাওয়া উচিত?
একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কের জন্য প্রতিদিন অন্তত ২ থেকে ৪ কাপ (২০০-৪০০ গ্রাম) ফল খাওয়া উচিত। এই পরিমাণটি আপনাকে আপনার দৈনিক ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে সাহায্য করবে।
জিমকারিদের জন্য, ফল খাওয়ার পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। শরীরচর্চার সময় এবং পরে ফল খাওয়া শক্তির মাত্রা বাড়াতে এবং পেশী তৈরি এবং মেরামতে সাহায্য করতে পারে।
এখানে প্রতিদিন ফল খাওয়ার জন্য কিছু সুপারিশ দেওয়া হল:
- শরীরচর্চার আগে: একটি কলা বা আপেল
- শরীরচর্চার পরে: একটি বা দুটি ফলের সালাদ বা একটি স্মুদি
- নাস্তার জন্য: একটি ফল বা একটি ফলের সালাদ
- দুপুরের খাবারের সাথে: একটি ফল
- রাতের খাবারের সাথে: একটি ফল
আপনি যদি ডায়াবেটিস বা অন্য কোনও স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ওষুধ খাচ্ছেন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলার আগে ফল খাওয়ার পরিমাণ পরিবর্তন করা উচিত।
ফলের পরিমাণ পরিমাপ করার জন্য, আপনি একটি সাধারণ রান্নাঘরের স্কেল ব্যবহার করতে পারেন। একটি কাপ ফলের ওজন প্রায় ২০০ গ্রাম।
জিমের আগে ফল খাওয়া কি ভালো?
হ্যাঁ, জিমের আগে ফল খাওয়া ভালো। ফলগুলি কার্বোহাইড্রেটের ভালো উৎস, যা শরীরের জন্য শক্তির একটি ভালো উৎস। শরীরচর্চার আগে ফল খেলে শক্তির মাত্রা বাড়তে পারে, যা শরীরচর্চার সময় আরও ভালো পারফরম্যান্স করতে সাহায্য করে।
হ্যাঁ, জিমের আগে ফল খাওয়া ভালো। ফলগুলি কার্বোহাইড্রেটের ভালো উৎস, যা শরীরের জন্য শক্তির একটি ভালো উৎস। শরীরচর্চার আগে ফল খেলে শক্তির মাত্রা বাড়তে পারে, যা শরীরচর্চার সময় আরও ভালো পারফরম্যান্স করতে সাহায্য করে।
জিমের আগে ফল খাওয়ার কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত:
- ফলগুলিকে প্রক্রিয়াজাত খাবার, যেমন ফাস্ট ফুড এবং চিনিযুক্ত পানীয়ের পরিবর্তে খাওয়া উচিত।
- ফল টাটকা খাওয়া সবচেয়ে ভালো। ফলের পুষ্টি উপাদানগুলি টাটকা ফলের মধ্যে বেশি থাকে।
- ফলের রস পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত। ফলের রস পান করলে ফলের ফাইবার নষ্ট হয়ে যায়, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
জিম করার আগে কোন ফল খাওয়া উচিত?
জিম করার আগে যে ফলগুলো খাওয়া উচিত তার মধ্যে রয়েছে:
- কলা: কলা একটি প্রাকৃতিক পাওয়ার বে। এতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে যা শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি প্রদান করে।
- অ্যাপেল: আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এছাড়াও এতে ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম থাকে যা শরীরের জন্য উপকারী।
- আঙ্গুর: আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- বেদানা: বেদানায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে ক্ষতিকর কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
- তরমুজ: তরমুজে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে ভিটামিন সি এবং লাইকোপিন থাকে যা শরীরের জন্য উপকারী।
জিমে কলা খাওয়ার উপকারিতা
কলা একটি পুষ্টিকর ফল যা জিমে ওয়ার্কআউট করার আগে এবং পরে খাওয়া যেতে পারে। এতে কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি-৬ এবং ভিটামিন সি রয়েছে, যা সবই ব্যায়ামের সময় এবং পরে শরীরের জন্য উপকারী।
ওয়ার্কআউটের আগে কলা খাওয়ার উপকারিতা:
- শক্তি জোগায়: কলার কার্বোহাইড্রেট শরীরের শক্তির জন্য প্রয়োজনীয়। ওয়ার্কআউটের আগে কলা খেলে শরীরে শক্তির জোগান বাড়ে, যা ব্যায়াম করার সময় ক্লান্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কমায়।
- পেশী ক্র্যাম্প প্রতিরোধ করে: কলার পটাশিয়াম পেশী ক্র্যাম্প প্রতিরোধে সাহায্য করে। ওয়ার্কআউটের আগে কলা খেলে পেশী ক্র্যাম্পের ঝুঁকি কমে যায়।
- মনোযোগ বাড়ায়: কলার ভিটামিন বি-৬ মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। ওয়ার্কআউটের আগে কলা খেলে ব্যায়াম করার সময় মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
ওয়ার্কআউটের পরে কলা খাওয়ার উপকারিতা:
- পেশী ক্ষয় পূরণ করে: ওয়ার্কআউটের পরে পেশী ক্ষয় হয়। কলার প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট পেশী ক্ষয় পূরণে সাহায্য করে।
- ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে: ওয়ার্কআউটের পরে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে ইলেক্ট্রোলাইট বেরিয়ে যায়। কলার পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- হাইড্রেশন বজায় রাখে: ওয়ার্কআউটের পরে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কলা পানিতে সমৃদ্ধ, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
জিম কারিদের ফল খাওয়ার সঠিক উপায়
জিমকারিদের ফল খাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করা উচিত:
- ফল টাটকা খাওয়া সবচেয়ে ভালো। ফলের পুষ্টি উপাদানগুলি টাটকা ফলের মধ্যে বেশি থাকে।
- ফলের রস পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত। ফলের রস পান করলে ফলের ফাইবার নষ্ট হয়ে যায়, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
- ফলগুলিকে প্রক্রিয়াজাত খাবার, যেমন ফাস্ট ফুড এবং চিনিযুক্ত পানীয়ের পরিবর্তে খাওয়া উচিত।
জিমকারিদের জন্য ফল খাওয়ার কিছু নির্দিষ্ট টিপস:
- শরীরচর্চার আগে বা পরে ফল খাওয়া যেতে পারে। শরীরচর্চার আগে ফল খেলে শক্তির মাত্রা বাড়তে পারে এবং শরীরচর্চার পরে ফল খেলে পেশী তৈরি এবং মেরামতের জন্য পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে।
- ফলকে ফলের সালাদ, স্মুদি, বা অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। এটি ফল খাওয়াকে আরও আকর্ষণীয় এবং স্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারে।
- ফলের পরিমাণ পরিমিত হওয়া উচিত। ফলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি এবং চিনি থাকে, তাই এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
জিমকারিদের জন্য কিছু ফলের সুপারিশ:
- শক্তির মাত্রা বাড়াতে: কলা, আপেল, বেরি
- পেশী তৈরিতে সাহায্য করতে: কলা, অ্যাভোকাডো, বেরি
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে: বেরি, তরমুজ, কাঁঠাল
- হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে: বেরি, তরমুজ, কাঁঠাল
জিমকারিরা তাদের লক্ষ্য এবং ব্যক্তিগত পছন্দের উপর ভিত্তি করে ফলগুলি বেছে নিতে পারেন।
কোন কোন ফল সবজি?
উদ্ভিদবিদ্যা অনুসারে, ফল হল একটি উদ্ভিদের পরিপক্ক ডিম্বাশয় যা সাধারণত একটি ফুল থেকে বিকশিত হয়। ফলের মধ্যে বীজ থাকে, যা থেকে নতুন উদ্ভিদ জন্মায়।
খাদ্য বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে, ফল হল একটি মিষ্টি, খাদ্যযোগ্য ফল যা সাধারণত খাবারে পরিবেশন করা হয়। খাদ্য বিজ্ঞানে, সবজি হল একটি উদ্ভিদের কোনও ভোজ্য অংশ যা ফল নয়।
এই দুটি সংজ্ঞার উপর ভিত্তি করে, কিছু ফল সবজি হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, টমেটো, মরিচ, এবং বেগুন সবই উদ্ভিদবিদ্যার দৃষ্টিকোণ থেকে ফল। তবে, খাদ্য বিজ্ঞানে, এগুলি প্রায়শই সবজি হিসাবে বিবেচিত হয়।
এখানে কিছু ফলের উদাহরণ রয়েছে যা খাদ্য বিজ্ঞানে সবজি হিসাবে বিবেচিত হয়:
- টমেটো
- মরিচ
- বেগুন
- আলু
- কাঁচা গাজর
- কাঁচা শসা
এই ফলগুলি সাধারণত খাবারে সবজি হিসাবে পরিবেশন করা হয় এবং অন্যান্য সবজির সাথে একইভাবে রান্না করা হয়।
অবশ্যই, ফল এবং সবজির মধ্যে পার্থক্য সবসময় স্পষ্ট হয় না। কিছু ফল, যেমন কলা এবং অ্যাভোকাডো, তাদের স্বাদ এবং খাবারের ব্যবহারের কারণে ফল হিসাবে বিবেচিত হয়।
অন্যদিকে, কিছু সবজি, যেমন গাজর এবং শসা, তাদের মিষ্টি স্বাদের কারণে ফল হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
অবশেষে, ফল এবং সবজির মধ্যে পার্থক্য একটি সাংস্কৃতিক এবং ব্যক্তিগত বিষয়। বিভিন্ন সংস্কৃতিতে এবং বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে, ফল এবং সবজির মধ্যে বিভিন্ন সংজ্ঞা এবং ধারণা রয়েছে।
শরীর গঠনে ফলের গুরুত্ব বা সুবিধা কি কি?
শরীর গঠনে ফলের কিছু নির্দিষ্ট সুবিধা:
- শরীরচর্চার আগে ফল খেলে শক্তির মাত্রা বাড়তে পারে, যা শরীরচর্চার সময় আরও ভালো পারফরম্যান্স করতে সাহায্য করে।
- শরীরচর্চার পরে ফল খেলে পেশী তৈরি এবং মেরামতের জন্য পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে।
- ফলগুলিতে ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- ফলগুলিতে ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ফলগুলিতে বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি উপাদান থাকে যা শরীর গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়। ফলগুলিতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার থাকে।