জিমের জন্য ভালো ফল হল এমন ফল যাতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই উপাদানগুলো শরীরের ক্লান্তি দূর করতে, পেশীর ক্ষতি মেরামত করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
জিমের জন্য কিছু ভালো ফলের মধ্যে রয়েছে:
- কলা: কলাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা শরীরের শক্তির জন্য প্রয়োজনীয়। এছাড়াও, কলাতে পটাশিয়াম থাকে, যা পেশীর সংকোচন এবং শিথিলকরণে সাহায্য করে।
- আপেল: আপেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই উপাদানগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং পেশীর ক্ষতি মেরামত করতে সাহায্য করে।
- তরমুজ: তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, তরমুজে ভিটামিন এ, সি এবং লাইকোপিন থাকে, যা শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- বেরি: বেরিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, বেরিতে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং পটাশিয়াম থাকে।
- অন্যান্য ফল: এছাড়াও, পেয়ারা, আঙ্গুর, আম, ডালিম, আনারস, কমলা ইত্যাদি ফলও জিমের জন্য ভালো।
জিমের পর ফল খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। এটি শরীরের ক্লান্তি দূর করতে, পেশীর ক্ষতি মেরামত করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
Contents
ফল কি এবং ফলের কাজ কি?
ফল হল উদ্ভিদের একটি অংশ যা বীজের আচ্ছাদন এবং প্রসারণকে সহায়তা করে। ফল সাধারণত মিষ্টি বা টক স্বাদযুক্ত এবং খাওয়ার জন্য উপযোগী।
ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের জন্য উপকারী।
ফলের কাজ হল:
- বীজের আচ্ছাদন এবং প্রসারণ: ফলের বাইরের অংশ বীজকে রক্ষা করে এবং এটিকে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।
- খাদ্য: ফল একটি পুষ্টিকর খাদ্য যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে।
- স্বাদ: ফল মিষ্টি বা টক স্বাদযুক্ত এবং খাওয়ার জন্য উপভোগ্য।
ফলের বিভিন্ন ধরনের শ্রেণিবিন্যাস রয়েছে। একটি সাধারণ শ্রেণিবিন্যাস হল রঙের উপর ভিত্তি করে। ফলগুলি সাধারণত লাল, হলুদ, সবুজ, বেগুনি এবং কমলা রঙের হয়।
ফলের কিছু সাধারণ উদাহরণ হল:
- আপেল
- কমলা
- কলা
- আঙ্গুর
- আম
- তরমুজ
- কাঁঠাল
- পেয়ারা
- বেরি
ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ফল খাওয়ার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ২-৩ টি ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
শরীরচর্চায় ফলমূল কি গুরুত্বপূর্ণ?
হ্যাঁ, শরীরচর্চায় ফলমূল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলমূলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের জন্য উপকারী। এই পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা পূরণে সাহায্য করে।
শরীরচর্চায় ফলমূলের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ:
- শক্তি সরবরাহ: ফলমূলে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা শরীরের শক্তির জন্য প্রয়োজনীয়। শরীরচর্চার সময় শরীর প্রচুর পরিমাণে শক্তি খরচ করে। তাই শরীরচর্চার আগে এবং পরে ফলমূল খাওয়া শরীরকে শক্তি সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
- পেশীর ক্ষতি মেরামত: শরীরচর্চার ফলে পেশীতে ক্ষতি হয়। ফলমূলে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে যা পেশীর ক্ষতি মেরামত করতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো: ফলমূলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: ফলমূলে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে। তাই শরীরচর্চার সাথে ফলমূল খাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
শরীরচর্চার আগে এবং পরে ফলমূল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। শরীরচর্চার আগে ফলমূল খাওয়া শরীরকে শক্তি সরবরাহ করতে সাহায্য করে। আর শরীরচর্চার পরে ফলমূল খাওয়া পেশীর ক্ষতি মেরামত করতে সাহায্য করে।
শুধু ফল খেলে কি পেশি বাড়ে?
না, শুধু ফল খেলে পেশি বাড়ে না। পেশি বাড়ানোর জন্য প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, এবং ফ্যাটের সমন্বিত খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, এবং ফাইবার থাকে, কিন্তু প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম থাকে। তাই শুধু ফল খেলে পেশির বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে।
পেশি বাড়ানোর জন্য প্রোটিন গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন পেশীর গঠন এবং মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন প্রতি কেজি শরীরের ওজনের প্রতি ১.৬-২.২ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত।
ফলের মধ্যে প্রোটিনের পরিমাণ কম থাকে। তাই পেশি বাড়ানোর জন্য ফলের সাথে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ, মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ইত্যাদি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কার্বোহাইড্রেট শরীরের শক্তির জন্য প্রয়োজনীয়। শরীরচর্চার সময় প্রচুর পরিমাণে শক্তি ব্যয় হয়। তাই শরীরচর্চার আগে এবং পরে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ফলের মধ্যে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই শরীরচর্চার জন্য ফল একটি ভালো উৎস। ফ্যাট শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান।
ফ্যাট হরমোন তৈরিতে, কোষের মেমব্রেন গঠনে, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য প্রয়োজনীয়। ফলের মধ্যে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। তাই পেশি বাড়ানোর জন্য ফলের সাথে ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার যেমন বাদাম, বীজ, তেল ইত্যাদি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সুতরাং, পেশি বাড়ানোর জন্য শুধু ফল খাওয়ার পরিবর্তে ফলের সাথে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, এবং ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ফল খেলে কি বডি বিল্ডিং করা যায়?
হ্যাঁ, ফল খেলে বডি বিল্ডিং করা যায়। তবে, শুধু ফল খেলে পেশি বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, এবং ফ্যাটের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না। তাই, ফলের সাথে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, এবং ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বডি বিল্ডিং করার জন্য ফলের কিছু সুবিধা হল:
- ফল ভিটামিন, খনিজ, এবং ফাইবারের ভালো উৎস। এই পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এবং পেশির বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- ফল ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে। তাই, ফল খাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- ফল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। শরীরচর্চার সময় প্রচুর পরিমাণে পানি হারিয়ে যায়। তাই, ফল খাওয়া শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
বডি বিল্ডিং করার জন্য ফল খাওয়ার কিছু টিপস হল:
- প্রতিদিন কমপক্ষে ২-৩ টি ফল খান।
- ফলের সাথে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, এবং ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খান।
- শরীরচর্চার আগে এবং পরে ফল খান।
ব্যায়ামের পর কলা খাওয়া ভালো কেন?
ব্যায়ামের পর কলা খাওয়া ভালো কারণ এটি শরীরকে পুষ্টি এবং ইলেক্ট্রোলাইট সরবরাহ করে। ব্যায়ামের সময় শরীর থেকে পানি, শর্করা এবং ইলেক্ট্রোলাইট বেরিয়ে যায়।
কলা পানি, কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ, যা সবই ব্যায়ামের পর শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।
কলা খাওয়ার উপকারিতা:
- শক্তি জোগায়: কলার কার্বোহাইড্রেট শরীরের শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়। ব্যায়ামের পরে কলা খেলে শরীরে শক্তি বাড়ে।
- পেশী ক্ষয় পূরণ করে: ব্যায়ামের পরে পেশী ক্ষয় হয়। কলার প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট পেশী ক্ষয় পূরণে সাহায্য করে।
- ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে: ব্যায়ামের পরে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে ইলেক্ট্রোলাইট বেরিয়ে যায়। কলার পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- হাইড্রেশন বজায় রাখে: ব্যায়ামের পরে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কলা পানিতে সমৃদ্ধ, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
- পেশী ক্র্যাম্প প্রতিরোধ করে: কলার পটাশিয়াম পেশী ক্র্যাম্প প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে।
- মনোযোগ বাড়ায়: কলাতে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ যা মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
কাটা ফল খাওয়া যাবে কি?
হ্যাঁ, কাটা ফল খাওয়া যাবে। তবে, কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে:
- কাটা ফল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খাওয়া উচিত। ফল কাটার পর অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসে, যার ফলে পুষ্টি উপাদান নষ্ট হতে শুরু করে।
- কাটা ফল ফ্রিজে রাখলে তা বেশিক্ষণ ভালো থাকবে। তবে, ফ্রিজে রাখলে ফলের স্বাদ এবং গন্ধ কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।
- কাটা ফলের উপর লেবু বা ভিনেগার ছড়িয়ে দিলে তা বেশিক্ষণ ভালো থাকবে। লেবু বা ভিনেগার ফলের অক্সিডেশনকে ধীর করতে সাহায্য করে।
কাটা ফল খাওয়ার কিছু সুবিধা হল:
- কাটা ফল খাওয়া সহজ।
- কাটা ফল খাওয়ার জন্য রান্না করার প্রয়োজন হয় না।
- কাটা ফল বাইরে নিয়ে যাওয়া সহজ।
কাটা ফল খাওয়ার কিছু অসুবিধা হল:
- কাটা ফলের পুষ্টি উপাদান নষ্ট হতে পারে।
- কাটা ফলের স্বাদ এবং গন্ধ কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।
সুতরাং, কাটা ফল খাওয়ার সুবিধা এবং অসুবিধাগুলো বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
ফল কাটলে কি ভিটামিন নষ্ট হয়?
হ্যাঁ, ফল কাটলে ভিটামিন নষ্ট হতে পারে। ফলের কোষগুলিতে অক্সিজেন এবং এনজাইম থাকে যা ভিটামিনকে অক্সিডাইজ করতে পারে। ফল কাটার ফলে কোষগুলি ভেঙে যায় এবং ভিটামিন অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসে, যার ফলে ভিটামিন নষ্ট হতে শুরু করে।
ফলের মধ্যে ভিটামিন সি সবচেয়ে বেশি নষ্ট হয়। ভিটামিন সি একটি পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন যা অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসলে সহজেই অক্সিডাইজ হয়। অন্যদিকে, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই তেল-দ্রবণীয় ভিটামিন যা অক্সিজেনের সংস্পর্শে কম নষ্ট হয়।
কাটা ফল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খাওয়া উচিত। ফল কাটার পর অক্সিজেনের সংস্পর্শে থাকার সময় কমিয়ে আনতে ফ্রিজে রাখতে পারেন। তবে, ফ্রিজে রাখলে ফলের স্বাদ এবং গন্ধ কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।
কাটা ফলের পুষ্টি উপাদান নষ্ট হওয়া রোধ করার জন্য কিছু টিপস:
- ফল কাটার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খাওয়া উচিত।
- কাটা ফল ফ্রিজে রাখলে তা বেশিক্ষণ ভালো থাকবে।
- কাটা ফলের উপর লেবু বা ভিনেগার ছড়িয়ে দিলে তা বেশিক্ষণ ভালো থাকবে। লেবু বা ভিনেগার ফলের অক্সিডেশনকে ধীর করতে সাহায্য করে।
ফল কাটার পর ভিটামিন নষ্ট হওয়ার পরিমাণ নির্ভর করে ফলের ধরন, কাটার পদ্ধতি এবং ফলের সংরক্ষণের পদ্ধতির উপর।
ওজন কমাতে দিনে কত ফল খাওয়া উচিত?
ওজন কমাতে দিনে কমপক্ষে ৫ টি ফল খাওয়া উচিত। ফলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার থাকে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। ফলগুলিতে ক্যালোরি কম থাকে এবং তাড়াতাড়ি পেট ভরে যায়, যা আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে।
ফলগুলিতে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
ফলগুলিতে থাকা ভিটামিন এবং খনিজগুলি শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তারা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হাড় এবং পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে এবং হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
ওজন কমাতে দিনে কত ফল খাওয়া উচিত তা ব্যক্তির বয়স, লিঙ্গ, স্বাস্থ্য এবং লক্ষ্যের উপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে, একজন প্রাপ্তবয়স্ককে দিনে কমপক্ষে ৫ টি ফল খাওয়া উচিত।
ওজন কমাতে সাহায্য করে এমন কিছু ফলের মধ্যে রয়েছে:
- আপেল
- কমলা
- আঙ্গুর
- বেরি
- আনারস
- পেঁপে
- আম
- কলা
বডি বিল্ডাররা ফল খায় না কেন?
কিছু বডি বিল্ডার ফল খায় না কারণ তারা মনে করেন যে ফলগুলিতে ক্যালোরি এবং চিনি বেশি থাকে। তারা বিশ্বাস করেন যে ফলগুলি তাদের পেশী তৈরির লক্ষ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তবে, বেশিরভাগ বডি বিল্ডাররা ফল খায়। তারা জানেন যে ফলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার থাকে যা শরীরের জন্য উপকারী।
ফলগুলিতে ক্যালোরি এবং চিনিও থাকে, তবে এগুলি প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো অন্যান্য খাদ্য উপাদানের মতো বেশি নয়।
ফলগুলিতে থাকা ভিটামিন এবং খনিজগুলি শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তারা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হাড় এবং পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে এবং হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
ফলগুলিতে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। এটি পেশী তৈরিতেও সাহায্য করে।
ফলগুলিতে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরের জন্য শক্তির একটি ভালো উৎস। তারা পেশী তৈরিতে এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
ফলগুলিতে থাকা প্রোটিন পেশী তৈরি এবং মেরামত করতে সাহায্য করে।
সুতরাং, বডি বিল্ডারদের ফল খাওয়া উচিত। ফলগুলি শরীরের স্বাস্থ্য এবং পেশী তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে।