জিম করার সঠিক সময় কখন? – সকাল, বিকাল, সন্ধ্যা নাকি রাত?

জিম করার সঠিক সময় নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্য এবং পছন্দের উপর। যদি আপনি ওজন কমাতে চান, তাহলে সকালে জিম করা ভালো। সকালে জিম করলে আপনার শরীরের বেশি ক্যালোরি পোড়ে।

যদি আপনি পেশী গঠন করতে চান, তাহলে সন্ধ্যা বা রাতে জিম করা ভালো। সন্ধ্যা বা রাতে জিম করলে আপনার শরীরের হরমোনের মাত্রা বেশি থাকে, যা পেশী গঠনে সাহায্য করে।

জিম করার আদর্শ সময় হল দুপুরের পর বিকেলে। এই সময়ে আপনার শরীর সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকে এবং আপনি নতুন শক্তি দিয়ে জিম করতে পারেন।

যদি আপনার কর্মজীবনের কারণে দুপুরের পর জিম করা সম্ভব না হয়, তাহলে সকালে বা সন্ধ্যা বা রাতে জিম করতে পারেন।

সকালে জিম করার সুবিধা:

  • শরীরের বেশি ক্যালোরি পোড়ে।
  • মনোযোগ এবং ফোকাস বাড়ে।
  • দিনের শুরুটা ভালো হয়।

সন্ধ্যা বা রাতে জিম করার সুবিধা:

  • পেশী গঠনে সাহায্য করে।
  • স্ট্রেস কমায়।
  • ঘুমের মান উন্নত করে।

জিম করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত:

  • আপনার শারীরিক অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যায়াম করুন।
  • ব্যায়াম শুরু করার আগে পর্যাপ্ত ওয়ার্ম-আপ করুন।
  • ব্যায়াম করার সময় ধীরে ধীরে ওজন বাড়ান।
  • ব্যায়াম করার পর পর্যাপ্ত কুল-ডাউন করুন।
  • ব্যায়াম করার পর প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।

নিয়মিত জিম করলে আপনার শরীর সুস্থ ও শক্তিশালী হয়।

 

সারা দিনে জিম করার সঠিক সময় কোনটি?

সারা দিনে জিম করা সময় ৩ টি। যথাঃ ১. সকাল, বিকেল ও সন্ধ্যা বা রাত।

সারা দিনে জিম করার বিভিন্ন সময়ের সুবিধা-অসুবিধা:

সকাল:

  • সুবিধা:
    • শরীরের বেশি ক্যালোরি পোড়ে।
    • মনোযোগ এবং ফোকাস বাড়ে।
    • দিনের শুরুটা ভালো হয়।
  • অসুবিধা:
    • সকালে অনেকের শরীরে শক্তি কম থাকে।
    • সকালে জিম করার পর কাজে মনোযোগ দিতে অসুবিধা হতে পারে।

দুপুরের পর বিকেলে:

  • সুবিধা:
    • শরীর সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকে।
    • নতুন শক্তি দিয়ে জিম করা যায়।
    • কাজের পর জিম করা যায়।
  • অসুবিধা:
    • দুপুরের পর অনেকের ঘুম আসতে পারে।

সন্ধ্যা বা রাতে:

  • সুবিধা:
    • পেশী গঠনে সাহায্য করে।
    • স্ট্রেস কমায়।
    • ঘুমের মান উন্নত করে।
  • অসুবিধা:
    • রাতে জিম করার পর ঘুমাতে অসুবিধা হতে পারে।

শেষ পর্যন্ত, আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো সময়টি হল যে সময় আপনি সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে পারেন এবং সর্বোত্তম ফলাফল অর্জন করতে পারেন।

 

সকাল, বিকাল, সন্ধ্যা নাকি রাতে? কখন জিম করলে ওজন কমবে ও সুফল মিলবে বেশি?

ওজন কমানো ও সুফল লাভের জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, সকালের দিকে জিম করলে ওজন কমানো বেশি সহজ হয়।

কারণ, সকালের দিকে শরীরের মেটাবলিজম রেট বেশি থাকে। ফলে, ব্যায়াম করলে শরীর থেকে বেশি ক্যালোরি পোড়ে। এছাড়াও, সকালের দিকে জিম করলে দিনের বাকি সময়টা সক্রিয় থাকতে সাহায্য করে।

তবে, সকালের দিকে জিম করার কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যেমন, সকালে ঘুম থেকে উঠে সরাসরি জিম করতে গেলে শরীরে ক্লান্তি অনুভব হতে পারে। এছাড়াও, সকালে জিম করার জন্য অনেকেই সময় পান না।

বিকাল বা সন্ধ্যার দিকে জিম করলেও ওজন কমানো সম্ভব। তবে, এ সময় ব্যায়াম করলে শরীর থেকে ক্যালোরি পোড়ে কম। এছাড়াও, রাতে জিম করলে  কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। কারো কারো ক্ষেত্রে রাতে জিম করলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।

অবশেষে, কোন সময় জিম করা ভালো তা নির্ভর করে ব্যক্তির ব্যক্তিগত পছন্দ ও সুযোগের উপর। তবে, ওজন কমানো ও সুফল লাভের জন্য সকালের দিকে জিম করা সবচেয়ে ভালো।

এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল যা ওজন কমানো ও সুফল লাভের জন্য সহায়ক হতে পারে:

  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
  • পর্যাপ্ত ঘুম নিন।
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।

 

কখন জিম করা উচিত নয়?

জিম করা একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। তবে, কিছু ক্ষেত্রে জিম করা উচিত নয়। নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে জিম করা উচিত নয়:

  • আপনি যদি অসুস্থ বোধ করেন, তাহলে জিম করা উচিত নয়। যদি আপনার সর্দি, জ্বর, বা অন্য কোনও রোগ হয়, তাহলে জিম করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ, ব্যায়াম আপনার রোগের অবস্থা আরও খারাপ করে তুলতে পারে।
  • আপনি যদি আঘাতপ্রাপ্ত হন, তাহলে জিম করা উচিত নয়। যদি আপনার শরীরের কোনও অংশে ব্যথা হয়, তাহলে সেই অংশে চাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ, ব্যায়াম আপনার আঘাতের অবস্থা আরও খারাপ করে তুলতে পারে।
  • আপনি যদি গর্ভবতী হন, তাহলে জিম করা উচিত নয়। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বিশেষ ধরনের ব্যায়াম প্রয়োজন। তাই, যদি আপনি গর্ভবতী হন, তাহলে একজন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের কাছ থেকে পরামর্শ নিন।
  • আপনি যদি কোনও নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থার সাথে লড়াই করেন, তাহলে জিম করা আপনার জন্য নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করতে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

 

নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে জিম করা সতর্কতার সাথে করা উচিত:

  • আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হন, তাহলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করে দেখুন। জিম করার আগে এবং পরে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করে দেখুন।
  • আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপের রোগী হন, তাহলে আপনার রক্তচাপ পরীক্ষা করে দেখুন। জিম করার আগে এবং পরে আপনার রক্তচাপ পরীক্ষা করে দেখুন।
  • আপনি যদি হৃদরোগী হন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। কিছু ক্ষেত্রে, হৃদরোগীদের জন্য জিম করা নিরাপদ নাও হতে পারে।

 

জিম করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মাথায় রাখুন:

  • আপনার শরীরের সীমাবদ্ধতা মেনে চলুন। আপনার শরীরের জন্য কি পরিমাণ ব্যায়াম করা নিরাপদ তা নির্ধারণ করুন।
  • সঠিক ব্যায়াম পদ্ধতি শিখুন। একজন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের কাছ থেকে সঠিক ব্যায়াম পদ্ধতি শিখুন।
  • প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ব্যবহার করুন। সঠিক সরঞ্জাম ব্যবহার করলে আঘাতের ঝুঁকি কমে যায়।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ব্যায়াম করার সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
  • ব্যায়াম করার পর কুল-ডাউন করুন। ব্যায়াম করার পর কুল-ডাউন করুন। এতে শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

নিয়মিত ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, জিম করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।