আমাদের মাঝে অনেকেই আছি এ ধারণা নিয়ে বসে আছি যে জিম করলে লিঙ্গ বা পুরুষাঙ্গ ছোট হয়ে যাবে। আসলে এ ধারণা পুরোটাই ভুল।
যারা নিয়মিত জিম করে তাদের পেশি ও শারীরিক গঠন একজন সাধারন মানুষের তুলনায় বড় ও উঁচু হয়ে থাকে।
তাই একজন সাধারন মানুষের তুলনায় একজন বডি বিল্ডারের পেশি বড় ও উঁচু হওয়ার কারনে সে দাঁড়ালে তার লিঙ্গ বা পুরুষাঙ্গ ছোট দেখায়। যা আমরা দেখে ভুল ধারণা পোষণ করি।
বাস্তবে আসলে তার কোন ভিত্তি নেই।
Contents
জিম কি পুরুষত্বকে প্রভাবিত করে?
হ্যাঁ, জিম পুরুষত্বকে প্রভাবিত করতে পারে। জিমিং পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে পারে, যা পুরুষত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন। টেস্টোস্টেরন পেশী বৃদ্ধি, যৌন আকাঙ্ক্ষা এবং আগ্রাসনকে প্রভাবিত করে।
জিমিং পুরুষদের আত্মবিশ্বাস এবং আত্ম-সম্মানকেও বাড়াতে পারে। যখন পুরুষরা তাদের শরীরে পরিবর্তন দেখতে পায়, তখন তারা আরও আকর্ষণীয় এবং ক্ষমতাশালী বোধ করতে পারে। এই অনুভূতিগুলি পুরুষত্বের ধারণার সাথে যুক্ত।
জিমিং পুরুষদের সামাজিক জীবনকেও প্রভাবিত করতে পারে। জিম হল একটি সামাজিক স্থান যেখানে পুরুষরা একে অপরের সাথে দেখা করতে এবং নতুন বন্ধু তৈরি করতে পারে। এই ধরনের সম্পর্ক পুরুষত্বের অনুভূতিকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।
জিমিং পুরুষত্বকে প্রভাবিত করার কিছু নির্দিষ্ট উপায় এখানে রয়েছে:
- টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ায়: জিমিং পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে পারে। টেস্টোস্টেরন পেশী বৃদ্ধি, যৌন আকাঙ্ক্ষা এবং আগ্রাসনকে প্রভাবিত করে।
- আত্মবিশ্বাস এবং আত্ম-সম্মান বাড়ায়: যখন পুরুষরা তাদের শরীরে পরিবর্তন দেখতে পায়, তখন তারা আরও আকর্ষণীয় এবং ক্ষমতাশালী বোধ করতে পারে। এই অনুভূতিগুলি পুরুষত্বের ধারণার সাথে যুক্ত।
- সামাজিক জীবনকে প্রভাবিত করে: জিম হল একটি সামাজিক স্থান যেখানে পুরুষরা একে অপরের সাথে দেখা করতে এবং নতুন বন্ধু তৈরি করতে পারে। এই ধরনের সম্পর্ক পুরুষত্বের অনুভূতিকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।
অবশ্যই, জিমিং পুরুষত্বকে প্রভাবিত করার একমাত্র উপায় নয়। পুরুষত্ব একটি জটিল ধারণা যা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ব্যক্তিগত কারণগুলির দ্বারা প্রভাবিত হয়। তবে, জিমিং পুরুষত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হতে পারে।
ব্যায়াম করার সাথে লিঙ্গ ছোট হওয়ার কোন সম্পর্ক আছে কি?
না, ব্যায়াম করার সাথে লিঙ্গ ছোট হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। জিম ব্যায়ামেরই একটি অংশ তাই জিম করার সাথেও লিঙ্গ ছোট হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই।
অনেকে এ বিষয়ে ভুল ধারণা থাকে, তাই যাদের এ ভুল ধারণা আছে তাদের বিষসায়িত ডাক্তার ও জিম প্রশিক্ষকের সাথে সরাসরি কথা বলে জেনে নেবার অনুরোধ রইলো। তা ছাড়া আপনি আমাদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারবেন।
GYM করলে কি পুরুষাঙ্গ ছোট হয়ে যায়? [ভিডিও]
“GYM করলে কি পুরুষাঙ্গ ছোট হয়ে যায়” এ বিষয়টি আমাদের প্রিয় নিলিয় ভাই এ ভিডিওতে খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়েছেন। সকলে এ ভিডিওটি মন দিয়ে দেখবেন তাহলে এ বিষয়ে আপনার আর কোন ভুল ধারণা থাকবে না।
পেনিস ছোট হওয়ার কারন কি?
পেনিস ছোট হওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হল:
- হরমোনজনিত সমস্যা: টেস্টোস্টেরন হরমোন পেনিসের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কম থাকলে পেনিস ছোট হতে পারে।
- জন্মগত সমস্যা: কিছু পুরুষের জন্মগতভাবেই ছোট পেনিস থাকে। এই সমস্যাটিকে মাইক্রোপেনিস বলা হয়।
- অন্যান্য চিকিৎসা সমস্যা: কিছু চিকিৎসা সমস্যা, যেমন দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ বা ক্যান্সার, পেনিস ছোট হতে পারে।
- অ্যালকোহল এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার: অ্যালকোহল এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার পেনিসের রক্ত সঞ্চালনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে, যা পেনিস ছোট হতে পারে।
- অতিরিক্ত হস্তমৈথুন: কিছু পুরুষ বিশ্বাস করেন যে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পেনিস ছোট করতে পারে। তবে, এই দাবির কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
পেনিস ছোট হওয়ার কিছু লক্ষণ হল:
- আকারে ছোট পেনিস
- উত্তেজিত হলেও খুব বেশি বড় হয় না
- উত্তেজিত হলেও সঠিকভাবে খাড়া হয় না
পেনিস ছোট হওয়ার চিকিৎসা নির্ভর করে কারণটির উপর। হরমোনজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে, টেস্টোস্টেরন থেরাপি সাহায্য করতে পারে।
জন্মগত সমস্যার ক্ষেত্রে, কোন চিকিৎসা নেই। অন্যান্য চিকিৎসা সমস্যার ক্ষেত্রে, মূল সমস্যার চিকিৎসা পেনিস ছোট হওয়া বন্ধ করতে পারে।
পেনিস ছোট হওয়া পুরুষদের জন্য একটি মানসিক চাপ হতে পারে। যদি আপনি পেনিস ছোট হওয়ার কারণে উদ্বিগ্ন হন, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।
পুরুষাঙ্গ ছোট হলে করনীয়
পুরুষাঙ্গ ছোট হলে করনীয় নিম্নরূপ:
- চিকিৎসা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা: পুরুষাঙ্গ ছোট হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে কিছু চিকিৎসাগত অবস্থা রয়েছে। যদি আপনি উদ্বিগ্ন হন যে আপনার পুরুষাঙ্গ ছোট, তাহলে একজন ডাক্তার বা যৌন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন। তারা আপনার পুরুষাঙ্গের আকার এবং কোনও অন্তর্নিহিত চিকিৎসা অবস্থার জন্য পরীক্ষা করতে পারেন।
- স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা: একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন আপনার পুরুষাঙ্গের আকার এবং কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, পর্যাপ্ত ঘুমানো এবং ধূমপান এবং মদ্যপান এড়ানো।
- কেগেল ব্যায়াম করা: কেগেল ব্যায়ামগুলি শ্রোণী তলদেশে পেশীগুলি শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এই পেশীগুলি পুরুষাঙ্গের আকার এবং কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
- অতিরিক্ত ওজন কমানো: অতিরিক্ত ওজন আপনার পুরুষাঙ্গের আকারকে ছোট দেখাতে পারে। ওজন কমানো আপনার পুরুষাঙ্গকে আরও বড় দেখাতে সাহায্য করতে পারে।
- পদ্ধতিগত চিকিৎসা: কিছু পদ্ধতিগত চিকিৎসা রয়েছে যা পুরুষাঙ্গের আকার বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এই পদ্ধতিগুলির মধ্যে রয়েছে:
- লিঙ্গ প্রসারণ: এই পদ্ধতিতে ধীরে ধীরে লিঙ্গের উপর টান দেওয়া হয়।
- লিঙ্গ ইমপ্লান্ট: এই পদ্ধতিতে লিঙ্গের ভিতরে একটি সিলিকন প্রোস্থেস ঢোকানো হয়।
নোট: পুরুষাঙ্গের আকার একটি সাধারণ উদ্বেগ, তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে পুরুষাঙ্গের আকার যৌনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। বেশিরভাগ মহিলারা পুরুষাঙ্গের আকারকে যৌন সন্তুষ্টির জন্য প্রধান কারণ হিসাবে বিবেচনা করে না।
জিম কি পুরুষাঙ্গের আকার বাড়ায়?
না, জিম পুরুষাঙ্গের আকার বাড়ায় না। পুরুষাঙ্গের আকার নির্ধারিত হয় জিনগত কারণে। জিম কসরত করে পেশী বাড়ানো যায়, কিন্তু পুরুষাঙ্গের পেশী নয়। পুরুষাঙ্গের আকার বাড়ানোর জন্য কোনও চিকিৎসা বা সার্জারিরও কোনও প্রমাণ নেই।
যদি আপনি আপনার পুরুষাঙ্গের আকার নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তাহলে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
তারা আপনাকে আপনার উদ্বেগগুলি সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারে এবং আপনাকে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর কোনও বিকল্প প্রস্তাব করতে পারে।