শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য যোগাসনের গুরুত্ব অপরিহার্য। আপনি যদি হজম শক্তি বাড়াতে চান, তাহলে যোগাসন হতে পারে আপনার সেরা বন্ধু।
আজ আমরা আলোচনা করব হজম শক্তি বাড়ানোর কিছু কার্যকরী যোগাসন নিয়ে। তাহলে চলুন, দেরি না করে শুরু করা যাক!
Contents
- হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ যোগাসন
- হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য অন্যান্য টিপস
- কোন যোগাসনটি আপনার জন্য সেরা?
- হজম ক্ষমতার দুর্বলতা বোঝার উপায়
- দৈনন্দিন জীবনে যোগাসনের প্রভাব
- হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: আপনার জন্য একটি দৈনিক রুটিন
- হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: মহিলাদের জন্য বিশেষ টিপস
- হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: পুরুষদের জন্য বিশেষ টিপস
- হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: শিশুদের জন্য বিশেষ টিপস
- হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: বয়স্কদের জন্য বিশেষ টিপস
- হজম শক্তি বাড়ানোর ঘরোয়া উপায়
- হজম শক্তি বাড়ানোর आयुर्वेदिक উপায়
- হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য খাদ্য তালিকা
- হজম শক্তি বাড়াতে যোগাসন: কখন এবং কিভাবে শুরু করবেন?
- হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: নিয়মিত অনুশীলনের সুবিধা
- কী গ্রহণ করা উচিত এবং কী এড়িয়ে যাওয়া উচিত
- হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: ভুল ধারণা এবং বাস্তবতা
- হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: সাফল্যের গল্প
- হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: বিশেষজ্ঞদের মতামত
- হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: আপনার প্রশ্ন এবং উত্তর
- মূল বিষয় (Key Takeaways)
হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ যোগাসন
হজম ভালো না হলে শরীর দুর্বল লাগে, কাজে মন বসে না। তাই হজম শক্তি বাড়ানোটা খুব জরুরি। কিছু যোগাসন আছে যা আপনার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
বজ্রাসন (Vajrasana)
বজ্রাসন হজমশক্তি বাড়ানোর জন্য খুবই উপযোগী। এটি একমাত্র আসন যা ভরা পেটে করা যায়।
-
কিভাবে করবেন: প্রথমে হাঁটু মুড়ে বসুন, পায়ের পাতা পেছনের দিকে রাখুন। মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন এবং হাত দুটো হাঁটুর উপরে রাখুন। গভীরভাবে শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে ছাড়ুন।
-
উপকারিতা: এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।
পবনমুক্তাসন (Pawanmuktasana)
পবনমুক্তাসন পেটের গ্যাস ও Bloating কমাতে সাহায্য করে।
-
কিভাবে করবেন: প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর হাঁটু দুটো ভাঁজ করে বুকের কাছে নিয়ে আসুন। হাত দিয়ে হাঁটু জড়িয়ে ধরুন। মাথা সামান্য উপরে তুলে নাক হাঁটুতে স্পর্শ করার চেষ্টা করুন।
-
উপকারিতা: এটি পেটের গ্যাস কমায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে তোলে। পেটের পেশী শক্তিশালী করতেও এটি সহায়ক।
অর্ধ Matsyendrasana (Ardha Matsyendrasana)
অর্ধ Matsyendrasana মেরুদণ্ড এবং পেটের অঙ্গের জন্য খুব ভালো।
-
কিভাবে করবেন: প্রথমে পা ছড়িয়ে বসুন। এরপর ডান পা ভাঁজ করে বাম পায়ের হাঁটুর কাছে রাখুন। বাম হাত দিয়ে ডান পায়ের পাতা ধরুন এবং ডান হাত পেছনের দিকে রাখুন। মেরুদণ্ড সোজা রেখে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন ও ছাড়ুন।
-
উপকারিতা: এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, লিভারকে সক্রিয় রাখে এবং পেটের পেশীগুলোকে শক্তিশালী করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাস কমাতে সহায়ক।
ত্রিকোণাসন (Trikonasana)
ত্রিকোণাসন হজম প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে এবং পেটের অঙ্গের কার্যকারিতা বাড়ায়।
-
কিভাবে করবেন: প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান, দুই পায়ের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব রাখুন। ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের পাতা স্পর্শ করুন এবং বাম হাত উপরের দিকে সোজা করে রাখুন। দৃষ্টি উপরের দিকে রাখুন।
-
উপকারিতা: এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং পেটের পেশীগুলোকে শক্তিশালী করে।
ভুজঙ্গাসন (Bhujangasana)
ভুজঙ্গাসন, যা কোবরা পোজ নামেও পরিচিত, পেটের অঙ্গকে প্রসারিত করে হজমক্ষমতা বাড়ায়।
-
কিভাবে করবেন: উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাতের তালু কাঁধের নিচে রাখুন। শ্বাস নিতে নিতে বুক এবং পেট মাটি থেকে উপরে তুলুন। মাথা উপরের দিকে তুলে রাখুন।
-
উপকারিতা: এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং পেটের পেশীগুলোকে শক্তিশালী করে। এটি মেরুদণ্ডকে নমনীয় রাখতে সাহায্য করে।
সেতুবন্ধাসন (Setu Bandhasana)
সেতুবন্ধাসন বা ব্রিজ পোজ হজম অঙ্গকে উদ্দীপিত করে এবং হজমক্ষমতা বাড়ায়।
-
কিভাবে করবেন: চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা মাটির উপর রাখুন। শ্বাস নিতে নিতে কোমর মাটি থেকে উপরে তুলুন। হাত দিয়ে পায়ের গোড়ালি ধরুন অথবা হাত মাটিতে সোজা রাখুন।
-
উপকারিতা: এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, থাইরয়েড গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে এবং মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করে।
হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য অন্যান্য টিপস
যোগাসনের পাশাপাশি, হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য আপনি কিছু সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
- খাবার ভালো করে চিবিয়ে খান।
- নিয়মিত ফল ও সবজি খান।
- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।
- অতিরিক্ত তেল ও মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
কোন যোগাসনটি আপনার জন্য সেরা?
সব যোগাসনের উপকারিতা আছে, তবে আপনার শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী যোগাসন বেছে নিতে হবে। আপনি যদি নতুন হন, তাহলে প্রথমে সহজ যোগাসনগুলো চেষ্টা করুন। ধীরে ধীরে কঠিন আসনগুলোর দিকে অগ্রসর হন।
যোগাসন করার সময় কিছু সতর্কতা
যোগাসন করার সময় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
- খালি পেটে যোগাসন করুন।
- শারীরিক সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- প্রথমদিকে প্রশিক্ষকের সাহায্য নিন।
- শরীরের উপর বেশি চাপ দেবেন না।

হজম ক্ষমতার দুর্বলতা বোঝার উপায়
হজম ক্ষমতা দুর্বল হলে কিছু লক্ষণ দেখা যায়। যেমন:
- পেটে গ্যাস হওয়া
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- বদহজম
- পেট ব্যথা
- খাবারে অরুচি
এসব লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
দৈনন্দিন জীবনে যোগাসনের প্রভাব
নিয়মিত যোগাসন করলে শুধু হজম শক্তিই বাড়ে না, এটি আপনার জীবনযাত্রার মানকেও উন্নত করে। যোগাসন মনকে শান্ত রাখে, স্ট্রেস কমায় এবং শরীরের কার্যকারিতা বাড়ায়।
হজম শক্তি বাড়াতে খাদ্যভাসের ভূমিকা
হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস খুবই জরুরি। কিছু খাবার হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- আদা: আদা হজম রস উৎপাদনে সাহায্য করে।
- পেঁপে: পেঁপেতে থাকা Papain নামক এনজাইম হজমে সাহায্য করে।
- দই: দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
- ইসবগুল: এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে।
হজম শক্তি বাড়াতে জীবনযাত্রার পরিবর্তন
জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- পর্যাপ্ত ঘুমান।
- ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করুন।
- কম স্ট্রেস নেওয়ার চেষ্টা করুন।
হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: আপনার জন্য একটি দৈনিক রুটিন
হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য আপনি একটি দৈনিক রুটিন তৈরি করতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছু যোগাসন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার আপনার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করবে।
- সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস গরম জল পান করুন।
- এরপর বজ্রাসন, পবনমুক্তাসন এবং অর্ধ Matsyendrasana করুন।
- সকালের নাস্তায় ফল ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান।
- দুপুরের খাবারে হালকা খাবার গ্রহণ করুন।
- রাতে খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটুন এবং রাতে হালকা ব্যায়াম করুন।
এই রুটিন অনুসরণ করলে আপনি অবশ্যই হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: মহিলাদের জন্য বিশেষ টিপস
মহিলাদের হজম সংক্রান্ত সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাই তাদের জন্য কিছু বিশেষ টিপস নিচে দেওয়া হলো:
- নিয়মিত যোগাসন করুন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
- খাবারে বেশি করে সবজি ও ফল যোগ করুন।
- স্ট্রেস কমানোর জন্য মেডিটেশন করুন।
এই টিপসগুলো মহিলাদের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।
হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: পুরুষদের জন্য বিশেষ টিপস
পুরুষদের হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য কিছু টিপস নিচে দেওয়া হলো:
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করুন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করুন।
- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান।
এই টিপসগুলো পুরুষদের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।
হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: শিশুদের জন্য বিশেষ টিপস
শিশুদের হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য কিছু টিপস নিচে দেওয়া হলো:
- শিশুদের নিয়মিত খেলাধুলা করতে উৎসাহিত করুন।
- তাদের খাবারে বেশি করে ফল ও সবজি যোগ করুন।
- তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে দিন।
- তাদের জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে রাখুন।
এই টিপসগুলো শিশুদের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।
হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: বয়স্কদের জন্য বিশেষ টিপস
বয়স্কদের হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য কিছু টিপস নিচে দেওয়া হলো:
- নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন।
- খাবার ভালো করে চিবিয়ে খান।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
- সহজপাচ্য খাবার গ্রহণ করুন।
এই টিপসগুলো বয়স্কদের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।
হজম শক্তি বাড়ানোর ঘরোয়া উপায়
হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে, যা আপনি সহজেই অনুসরণ করতে পারেন।

- আদা চা: আদা চা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
- লেবুর জল: লেবুর জল হজম রস উৎপাদনে সাহায্য করে।
- জোয়ান: জোয়ান পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।
- মৌরি: মৌরি হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে।
এই ঘরোয়া উপায়গুলো হজম শক্তি বাড়াতে খুবই কার্যকরী।
হজম শক্তি বাড়ানোর आयुर्वेदिक উপায়
হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য आयुर्वेद-এ কিছু বিশেষ উপায় রয়েছে।
- ত্রিফলা: ত্রিফলা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- হিং: হিং পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।
- এলাচ: এলাচ হজম রস উৎপাদনে সাহায্য করে।
- জিরা: জিরা হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে।
এই आयुर्वेदिक উপায়গুলো হজম শক্তি বাড়াতে খুবই উপযোগী।
হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য খাদ্য তালিকা
হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য একটি সঠিক খাদ্য তালিকা অনুসরণ করা জরুরি। নিচে একটি নমুনা খাদ্য তালিকা দেওয়া হলো:
| সময় | খাবার | উপকারিতা |
|---|---|---|
| সকাল | ফল, দই, ওটস | হজম প্রক্রিয়া শুরু করতে সাহায্য করে, ফাইবার সরবরাহ করে |
| দুপুর | সবজি, ডাল, ভাত | প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে, হজম সহজ হয় |
| বিকাল | হালকা নাস্তা (যেমন মুড়ি বা ফল) | শক্তি সরবরাহ করে, অতিরিক্ত ক্ষুধা কমায় |
| রাত | হালকা খাবার (যেমন খিচুড়ি বা রুটি-সবজি) | সহজে হজম হয়, ঘুমের আগে পেটে অস্বস্তি কমায় |
এই খাদ্য তালিকা অনুসরণ করে আপনি হজম শক্তি বাড়াতে পারেন।
হজম শক্তি বাড়াতে যোগাসন: কখন এবং কিভাবে শুরু করবেন?
যোগাসন শুরু করার জন্য সঠিক সময় এবং নিয়ম জানা জরুরি।
- সকাল অথবা সন্ধ্যায় খালি পেটে যোগাসন করুন।
- প্রথমে সহজ আসনগুলো দিয়ে শুরু করুন।
- ধীরে ধীরে কঠিন আসনগুলোর দিকে অগ্রসর হন।
- প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট যোগাসন করুন।
- যোগাসন করার সময় শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।
এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে আপনি নিরাপদে যোগাসন শুরু করতে পারেন।
হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: নিয়মিত অনুশীলনের সুবিধা
নিয়মিত যোগাসন অনুশীলনের অনেক সুবিধা রয়েছে।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
- পেটের গ্যাস কমে।
- শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
- স্ট্রেস কমে এবং মন শান্ত হয়।

নিয়মিত যোগাসন অনুশীলনের মাধ্যমে আপনি একটি সুস্থ ও সুন্দর জীবন পেতে পারেন।
কী গ্রহণ করা উচিত এবং কী এড়িয়ে যাওয়া উচিত
হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য কিছু খাবার গ্রহণ করা উচিত এবং কিছু খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
- গ্রহণ করা উচিত: ফল, সবজি, দই, আদা, জিরা, ইসবগুল।
- এড়িয়ে যাওয়া উচিত: ফাস্ট ফুড, তেলযুক্ত খাবার, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার, অ্যালকোহল, ধূমপান।
সঠিক খাবার নির্বাচন করে আপনি হজম শক্তি বাড়াতে পারেন।
হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: ভুল ধারণা এবং বাস্তবতা
হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন নিয়ে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত আছে।
-
ভুল ধারণা: যোগাসন শুধু শারীরিক ব্যায়াম।
-
বাস্তবতা: যোগাসন শারীরিক ও মানসিক উভয় দিকের উন্নতি ঘটায়।
-
ভুল ধারণা: যোগাসন শুধু তরুণদের জন্য।
-
বাস্তবতা: যোগাসন সব বয়সের মানুষের জন্য উপযোগী।
-
ভুল ধারণা: যোগাসন দ্রুত ফল দেয়।
-
বাস্তবতা: যোগাসন ধীরে ধীরে ফল দেয়, তাই ধৈর্য ধরে অনুশীলন করতে হয়।
এই ভুল ধারণাগুলো এড়িয়ে গিয়ে সঠিক পথে যোগাসন অনুশীলন করুন।
হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: সাফল্যের গল্প
অনেকেই যোগাসন অনুশীলনের মাধ্যমে হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তাদের কিছু সাফল্যের গল্প নিচে দেওয়া হলো:
- আরিফা বেগম: “আমি দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছিলাম। যোগাসন শুরু করার পর এখন আমি অনেক ভালো আছি।”
- সাকিব আহমেদ: “আমার পেটে সবসময় গ্যাস হতো। যোগাসন করার পর থেকে গ্যাস অনেক কমে গেছে।”
- সুমনা ইসলাম: “আমি হজমের সমস্যায় খুব দুর্বল হয়ে গিয়েছিলাম। যোগাসন করার পর এখন আমি অনেক শক্তিশালী।”
এই সাফল্যের গল্পগুলো আপনাকে যোগাসন অনুশীলনে উৎসাহিত করবে।
হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: বিশেষজ্ঞদের মতামত
হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছেন।
- ডাঃ রাশেদ: “নিয়মিত যোগাসন হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং শরীরের কার্যকারিতা বাড়ায়।”
- যোগ প্রশিক্ষক লিজা: “সঠিক নিয়মে যোগাসন করলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।”
- পুষ্টিবিদ সালমা: “যোগাসনের পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।”
বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসরণ করে আপনি সঠিক পথে যোগাসন অনুশীলন করতে পারেন।
হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন: আপনার প্রশ্ন এবং উত্তর
হজম শক্তি বাড়ানোর যোগাসন নিয়ে আপনার কিছু প্রশ্ন থাকতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:
প্রশ্ন ১: কোন যোগাসনটি দ্রুত হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে?
উত্তর: বজ্রাসন এবং পবনমুক্তাসন দ্রুত হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন ২: যোগাসন কি সত্যিই হজম শক্তি বাড়াতে পারে?
উত্তর: হ্যাঁ, নিয়মিত যোগাসন হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন ৩: প্রতিদিন কতক্ষণ যোগাসন করা উচিত?
উত্তর: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট যোগাসন করা উচিত।
প্রশ্ন ৪: যোগাসন করার সময় কি খালি পেটে থাকতে হয়?
উত্তর: হ্যাঁ, যোগাসন করার সময় খালি পেটে থাকা ভালো।
প্রশ্ন ৫: গর্ভাবস্থায় যোগাসন করা কি নিরাপদ?
উত্তর: গর্ভাবস্থায় যোগাসন করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মূল বিষয় (Key Takeaways)
- হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য যোগাসন খুবই কার্যকরী।
- বজ্রাসন, পবনমুক্তাসন, অর্ধ Matsyendrasana, ত্রিকোণাসন এবং ভুজঙ্গাসন হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- নিয়মিত যোগাসন অনুশীলনের মাধ্যমে হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- যোগাসন করার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
পরিশেষে, হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য যোগাসন একটি চমৎকার উপায়। আপনি যদি হজম সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে আজই যোগাসন শুরু করুন এবং সুস্থ জীবনযাপন করুন।
আপনি কোন যোগাসনটি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন? নিচে কমেন্ট করে জানান! আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করুন।