শারীরিক গঠন ধরে রাখতে চান? চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার কিছু দারুণ কৌশল জেনে নিন! বয়স বাড়লে শরীরের দিকে একটু বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন।
Contents
- চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার গুরুত্ব
- চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার উপায়
- কিছু জরুরি টিপস
- চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার ডায়েট চার্ট
- চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার ব্যায়ামের তালিকা
- চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার ভুল ধারণা
- চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার সুবিধা
- চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার অসুবিধা
- চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার গল্প
- চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার ভবিষ্যৎ
- চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার জন্য কিছু অ্যাপস
- চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার জন্য কিছু ইউটিউব চ্যানেল
- চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার জন্য কিছু বই
- চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার কৌশল: কিছু অতিরিক্ত টিপস
- চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার অসুবিধাগুলো কিভাবে মোকাবেলা করবেন?
- চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার জন্য কিছু দেশীয় খাবার
- চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার জন্য কিছু ব্যায়ামের সরঞ্জাম
- চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার জন্য কিছু পোশাক
- চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার জন্য কিছু পানীয়
- FAQ – চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার কৌশল
- Key Takeaways
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার গুরুত্ব
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখা কেন জরুরি, সেটা নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে কিছু পরিবর্তন আসে, যা মাসলের ওপর প্রভাব ফেলে।
- শারীরিক ক্ষমতা ধরে রাখা: মাসল ধরে রাখলে দৈনন্দিন কাজকর্ম সহজে করা যায়।
- হাড়ের সুরক্ষা: মাসল হাড়কে রক্ষা করে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।
- রোগ প্রতিরোধ: মাসল ধরে রাখলে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
- মানসিক স্বাস্থ্য: শরীরচর্চা করলে মন ভালো থাকে এবং মানসিক চাপ কমে।
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার উপায়
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার জন্য কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করতে পারেন।
ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়াম করা মাসল ধরে রাখার অন্যতম উপায়।
ওয়েট ট্রেনিং
ওয়েট ট্রেনিং মাসল তৈরিতে সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন ওয়েট ট্রেনিং করুন।
- বেসিক ব্যায়াম: স্কোয়াট, ডেডলিফট, বেঞ্চ প্রেসের মতো ব্যায়ামগুলো মাসল তৈরিতে খুব দরকারি।
- যন্ত্র ব্যবহার: জিমের বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করে নির্দিষ্ট মাসলের ওপর জোর দিতে পারেন।
কার্ডিও
হৃদরোগের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি কার্ডিও ব্যায়াম ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
- দৌড়ানো: নিয়মিত দৌড়ালে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি খরচ হয়।
- সাঁতার: সাঁতার একটি চমৎকার কার্ডিও ব্যায়াম, যা শরীরের সব মাসলের জন্য ভালো।
- সাইকেল চালানো: সাইকেল চালালে পায়ের মাসল শক্তিশালী হয় এবং হৃদরোগের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
বডিওয়েট ট্রেনিং
বডিওয়েট ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে কোনো সরঞ্জাম ছাড়াই মাসল তৈরি করা যায়।
- পুশ আপ: বুকের মাসল এবং ট্রাইসেপস শক্তিশালী করে।
- প্ল্যাঙ্ক: পেটের মাসলের জন্য খুব ভালো ব্যায়াম।
- স্কার্ট: পায়ের মাসল শক্তিশালী করে।
সঠিক ডায়েট
মাসল ধরে রাখার জন্য সঠিক ডায়েট খুব জরুরি।
প্রোটিন গ্রহণ
প্রোটিন মাসল তৈরিতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন রাখুন।
- ডিম: ডিম একটি সহজলভ্য ও পুষ্টিকর খাবার, যা প্রোটিনের উৎস।
- চিকেন ও মাছ: চর্বি ছাড়া চিকেন ও মাছ প্রোটিনের ভালো উৎস।
- ডাল ও শস্য: যারা নিরামিষ খাবার খান, তাদের জন্য ডাল ও শস্য প্রোটিনের ভালো উৎস হতে পারে।
ভিটামিন ও মিনারেল
ভিটামিন ও মিনারেল শরীরের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- ফল ও সবজি: প্রতিদিন পর্যাপ্ত ফল ও সবজি খান।
- মাল্টিভিটামিন: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মাল্টিভিটামিন খেতে পারেন।
পানি পান
শরীরকে সতেজ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি।
- পর্যাপ্ত পানি: প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস পানি পান করুন।
- ফলের রস: ফলের রস পান করলে শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলসের চাহিদা পূরণ হয়।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম
ব্যায়ামের পাশাপাশি পর্যাপ্ত বিশ্রামও মাসল পুনরুদ্ধারের জন্য জরুরি।
ঘুমের গুরুত্ব
প্রতিদিন রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।

- ঘুমের সময়: একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠা শরীরের জন্য ভালো।
- বিশ্রাম: দিনের বেলায় কাজের ফাঁকে ছোট বিশ্রাম নিতে পারেন।
স্ট্রেস কমানো
মানসিক চাপ মাসলের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
- মেডিটেশন: নিয়মিত মেডিটেশন করলে মানসিক চাপ কমে।
- যোগ ব্যায়াম: যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর ও মনকে শান্ত রাখা যায়।
- নিজের জন্য সময়: প্রতিদিন কিছু সময় নিজের পছন্দের কাজ করুন, যা আপনাকে আনন্দ দেয়।
সাপ্লিমেন্ট
ডায়েটের পাশাপাশি কিছু সাপ্লিমেন্ট মাসল ধরে রাখতে সাহায্য করে।
ক্রিয়েটিন
ক্রিয়েটিন শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং মাসল তৈরিতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি হাড় ও মাসলের জন্য খুব দরকারি।
ওমেগা ৩
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের প্রদাহ কমায় এবং মাসল পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।
কিছু জরুরি টিপস
- ধৈর্য ধরুন, ফলাফল পেতে সময় লাগতে পারে।
- নিজের শরীরের প্রতি মনোযোগ দিন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যায়াম করুন।
- নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- উৎসাহ ধরে রাখুন, বন্ধুদের সঙ্গে ব্যায়াম করুন।
- নতুন কিছু চেষ্টা করুন, যেমন বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম।
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার ডায়েট চার্ট
এখানে একটি সাধারণ ডায়েট চার্ট দেওয়া হলো, যা আপনাকে মাসল ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
| সময় | খাবার | উপকারিতা |
|---|---|---|
| সকাল | ডিম, ওটস, ফল | প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ, যা দিনের শুরুটা ভালো করে। |
| দুপুর | ভাত, মাছ/মাংস, সবজি | প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ভিটামিন সরবরাহ করে। |
| বিকাল | বাদাম, ফল | স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। |
| রাত | রুটি, সবজি, ডাল | সহজে হজমযোগ্য এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। |
| ব্যায়ামের আগে | কলা/খেজুর | দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে ব্যায়ামের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে। |
| ব্যায়ামের পরে | প্রোটিন শেক/ডিম | মাসল পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। |
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার ব্যায়ামের তালিকা
এখানে কিছু ব্যায়ামের তালিকা দেওয়া হলো, যা আপনি অনুসরণ করতে পারেন।
| ব্যায়াম | উপকারিতা | কতবার করবেন |
|---|---|---|
| স্কোয়াট | পায়ের মাসল শক্তিশালী করে, শরীরের ভারসাম্য বাড়ায়। | ৩ সেটে ১২-১৫ বার |
| পুশ আপ | বুকের মাসল ও ট্রাইসেপস শক্তিশালী করে। | ৩ সেটে যতক্ষণ পারেন |
| ডেডলিফট | পুরো শরীরের মাসল শক্তিশালী করে, বিশেষ করে পিঠ ও পায়ের মাসল। | ৩ সেটে ৮-১২ বার |
| বেঞ্চ প্রেস | বুকের মাসল ও ট্রাইসেপস শক্তিশালী করে। | ৩ সেটে ৮-১২ বার |
| প্ল্যাঙ্ক | পেটের মাসল শক্তিশালী করে, শরীরের কোর স্টেবিলিটি বাড়ায়। | ৩ সেটে ৩০-৬০ সেকেন্ড |
| বাইসেপ কার্ল | হাতের বাইসেপ মাসল শক্তিশালী করে। | ৩ সেটে ১২-১৫ বার |
| ট্রাইসেপস এক্সটেনশন | হাতের ট্রাইসেপস মাসল শক্তিশালী করে। | ৩ সেটে ১২-১৫ বার |
| পুল আপ | পিঠের মাসল ও হাতের বাইসেপ মাসল শক্তিশালী করে। | ৩ সেটে যতক্ষণ পারেন |
| রোয়িং | পিঠের মাসল শক্তিশালী করে, বসার ভঙ্গি উন্নত করে। | ৩ সেটে ১২-১৫ বার |
| লেগ প্রেস | পায়ের মাসল শক্তিশালী করে, হাঁটু ও হিপ জয়েন্টের সুরক্ষা বাড়ায়। | ৩ সেটে ১৫-২০ বার |
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার ভুল ধারণা
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখা নিয়ে অনেকের মনে কিছু ভুল ধারণা থাকে। সেগুলো দূর করা দরকার।
- বেশি ব্যায়াম করলেই বেশি মাসল হবে: এটি ঠিক নয়। অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও সঠিক ডায়েট জরুরি।
- শুধু প্রোটিন খেলেই মাসল তৈরি হয়: প্রোটিনের পাশাপাশি কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ভিটামিন ও মিনারেলসও প্রয়োজন।
- বয়স হয়ে গেলে মাসল তৈরি করা যায় না: সঠিক চেষ্টা ও নিয়ম মেনে চললে যেকোনো বয়সেই মাসল তৈরি করা সম্ভব।
- সাপ্লিমেন্ট ছাড়া মাসল তৈরি করা যায় না: সাপ্লিমেন্ট মাসল তৈরিতে সাহায্য করতে পারে, তবে সঠিক ডায়েট ও ব্যায়ামের মাধ্যমেও মাসল তৈরি করা সম্ভব।
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার সুবিধা
মাসল ধরে রাখার অনেক সুবিধা রয়েছে।
- শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি: মাসল ধরে রাখলে দৈনন্দিন কাজকর্ম সহজে করা যায়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: মাসল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- হাড়ের সুরক্ষা: মাসল হাড়কে রক্ষা করে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।
- মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতি: শরীরচর্চা করলে মন ভালো থাকে এবং মানসিক চাপ কমে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: মাসল বেশি ক্যালোরি খরচ করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার অসুবিধা
কিছু অসুবিধা থাকলেও সঠিক উপায় অনুসরণ করলে সেগুলো এড়ানো যায়।
- সময়ের অভাব: ব্যস্ত জীবনে ব্যায়ামের জন্য সময় বের করা কঠিন হতে পারে।
- শারীরিক সমস্যা: বয়সের কারণে কিছু শারীরিক সমস্যা হতে পারে, যা ব্যায়ামে বাধা দেয়।
- উৎসাহের অভাব: অনেক সময় ব্যায়াম করার জন্য যথেষ্ট উৎসাহ থাকে না।
- ভুল তথ্য: ভুল তথ্যের কারণে সঠিক ব্যায়াম পদ্ধতি অনুসরণ করা কঠিন হতে পারে।
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার গল্প
রহিম চাচা, একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। বয়স ৬২ বছর।
আগে তিনি খুব অলস জীবনযাপন করতেন। একদিন তিনি ডাক্তারের কাছে গেলেন এবং জানতে পারলেন তার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি রয়েছে।
ডাক্তার তাকে নিয়মিত ব্যায়াম করার পরামর্শ দিলেন। রহিম চাচা প্রথমে একটু দ্বিধা বোধ করলেন, কিন্তু পরে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি ব্যায়াম করবেন।
তিনি প্রথমে হাঁটা শুরু করলেন, তারপর ধীরে ধীরে হালকা ব্যায়াম ও যোগ ব্যায়াম শুরু করলেন।
কিছুদিন পর তিনি বুঝতে পারলেন যে তার শরীর আগের চেয়ে অনেক ভালো লাগছে। তিনি আরও উৎসাহিত হয়ে নিয়মিত ব্যায়াম করতে লাগলেন।
ছয় মাস পর রহিম চাচার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তিনি এখন অনেক সুস্থ ও সুখী জীবনযাপন করছেন।
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার ভবিষ্যৎ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে মাসল ধরে রাখার নতুন নতুন উপায় বের হচ্ছে।
- নতুন ব্যায়াম পদ্ধতি: বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন নতুন ব্যায়াম পদ্ধতি আবিষ্কার করছেন, যা কম সময়ে বেশি ফল দেয়।
- উন্নত ডায়েট প্ল্যান: এখনকার ডায়েট প্ল্যানগুলো আরও বেশি বিজ্ঞানসম্মত ও কার্যকর।
- প্রযুক্তি ব্যবহার: বিভিন্ন ফিটনেস ট্র্যাকার ও অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেরProgress ট্র্যাক করা যায়।
- বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: এখন অনলাইনেও অনেক ফিটনেস বিশেষজ্ঞ পাওয়া যায়, যারা সঠিক পরামর্শ দিতে পারেন।
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার জন্য কিছু অ্যাপস
- MyFitnessPal
- Nike Training Club
- Fitbit
- BetterMe
- Peloton
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার জন্য কিছু ইউটিউব চ্যানেল
- FitnessBlender
- ATHLEAN-X
- ScottHermanFitness
- Bodybuilding.com
- Jeff Nippard
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার জন্য কিছু বই
- Bigger Leaner Stronger by Michael Matthews
- The 4-Hour Body by Timothy Ferriss
- Strength Training Anatomy by Frederic Delavier
- Starting Strength by Mark Rippetoe
- শরীরচর্চা ও খাদ্য পরিকল্পনা – বিজ্ঞানসম্মত উপায়

চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার কৌশল: কিছু অতিরিক্ত টিপস
- সকালে ব্যায়াম করুন: সকালে ব্যায়াম করলে সারাদিন শরীর চনমনে থাকে।
- ব্যায়ামের সময় গান শুনুন: গান শুনলে ব্যায়াম করতে ভালো লাগে এবং ক্লান্তি কম লাগে।
- বন্ধুদের সাথে ব্যায়াম করুন: বন্ধুদের সাথে ব্যায়াম করলে উৎসাহ বাড়ে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা সহজ হয়।
- নিজের ছবি তুলুন: নিজেরProgress দেখার জন্য নিয়মিত ছবি তুলুন।
- পুরস্কার দিন: যখন আপনি কোনো লক্ষ্য অর্জন করবেন, তখন নিজেকে ছোটখাটো পুরস্কার দিন।
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার অসুবিধাগুলো কিভাবে মোকাবেলা করবেন?
- সময়ের অভাব: ছোট ছোট workout করুন, যা ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে করা যায়।
- শারীরিক সমস্যা: ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করুন এবং হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন।
- উৎসাহের অভাব: নিজের লক্ষ্য মনে রাখুন এবং বন্ধুদের সাথে ব্যায়াম করুন।
- ভুল তথ্য: সঠিক তথ্য জানার জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার জন্য কিছু দেশীয় খাবার
- ডিম
- ডাল
- মাছ
- মাংস
- সবজি
- ফল
- দই
- পনির
- বাদাম
- seeds
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার জন্য কিছু ব্যায়ামের সরঞ্জাম
- ডাম্বেল
- বারবেল
- রেসিস্টেন্স ব্যান্ড
- পুল আপ বার
- কেটলবেল
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার জন্য কিছু পোশাক
- আরামদায়ক টি-শার্ট
- ট্র্যাক প্যান্ট
- স্পোর্টস ব্রা (মহিলাদের জন্য)
- সঠিক সাইজের জুতো
- মোজা
চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার জন্য কিছু পানীয়
- পানি
- ফলের রস
- গ্রিন টি
- প্রোটিন শেক
- নারিকেলের পানি
FAQ – চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার কৌশল
এখানে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:
১. চল্লিশের পর কি মাসল তৈরি করা সম্ভব?
অবশ্যই! সঠিক ডায়েট ও ব্যায়ামের মাধ্যমে চল্লিশের পরেও মাসল তৈরি করা সম্ভব।
২. সপ্তাহে কত দিন ব্যায়াম করা উচিত?
সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার দিন ব্যায়াম করা উচিত।
৩. কি ধরনের খাবার মাসল তৈরিতে সাহায্য করে?
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন ডিম, মাছ, মাংস, ডাল মাসল তৈরিতে সাহায্য করে।
৪. ব্যায়ামের আগে কি খাওয়া উচিত?
ব্যায়ামের আগে সহজে হজমযোগ্য কার্বোহাইড্রেট, যেমন কলা বা খেজুর খাওয়া উচিত।
৫. ব্যায়ামের পরে কি খাওয়া উচিত?
ব্যায়ামের পরে প্রোটিন শেক বা ডিম খাওয়া মাসল পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।
৬. চল্লিশের পর মাসল ধরে রাখার জন্য কোন ব্যায়ামগুলো ভালো?
ওয়েট ট্রেনিং, কার্ডিও, এবং বডিওয়েট ট্রেনিংয়ের সমন্বয় মাসল ধরে রাখার জন্য ভালো। স্কোয়াট, পুশ আপ, ডেডলিফট, এবং বেঞ্চ প্রেসের মতো ব্যায়ামগুলো খুব উপযোগী।
৭. সাপ্লিমেন্ট কি মাসল তৈরিতে সাহায্য করে?
কিছু সাপ্লিমেন্ট, যেমন ক্রিয়েটিন ও ভিটামিন ডি মাসল তৈরিতে সাহায্য করতে পারে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এগুলো গ্রহণ করা উচিত।
Key Takeaways
- নিয়মিত ব্যায়াম, বিশেষ করে ওয়েট ট্রেনিং করুন।
- পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করুন, যেমন ডিম, মাছ, মাংস, ও ডাল।
- সঠিক ডায়েট ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম মাসল ধরে রাখার জন্য জরুরি।
- মানসিক চাপ কমানোর জন্য মেডিটেশন ও যোগ ব্যায়াম করুন।
- ধৈর্য ধরে চেষ্টা চালিয়ে যান, ফলাফল পেতে সময় লাগতে পারে।
আশা করি, এই কৌশলগুলো আপনাকে চল্লিশের পরেও মাসল ধরে রাখতে সাহায্য করবে। সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন!